পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レr○○ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী অচলিত সংগ্ৰহ ১ বর্তমান খণ্ডে প্রকাশিত পুস্তকগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় এখানে প্রদত্ত হইল । [ ] বন্ধনী-চিহ্নে প্রদত্ত ইংরেজি তারিখ বেঙ্গল লাইব্রেরির পুস্তক-তালিকা হইতে গৃহীত । কবি-কাহিনী রচনার দিক দিয়া বন-ফুল পূর্ববতী হইলেও “কবি-কাহিনীই পুস্তকাকারে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের সর্বপ্রথম রচনা এবং ইহা একটি সম্পূৰ্ণ কাব্যগ্রন্থ। সংবৎ ১৯৩৫ [ ৫ নভেম্বর ১৮৭৮] ইহা প্রকাশিত হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৩ ৷ ইহা পুনরমুদ্রিত হয় নাই। কবি-কাহিনী প্ৰথম বৎসরের ‘ভারতীর (১২৮৪ সাল) পৌষ হইতে চৈত্র সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। কবির বয়স তখন ষোলো বৎসর। এই পুস্তক সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ তাহার ‘জীবনস্মৃতিতে লিখিয়াছেন— এই কবি-কাহিনী কাব্যই আমার রচনাবলীর মধ্যে প্ৰথম গ্ৰন্থ-আকারে বাহির হয় । আমি যখন মেজদাদার নিকট আমেদাবাদে ছিলাম তখন আমার কোনো উৎসাহী বন্ধু এই বইখানা ছাপাইয়া আমার নিকট পঠাইয়া দিয়া আমাকে বিস্মিত করিয়া দেন। -প্রথম সংস্করণ, পৃ. ১০৮ এই উক্তির মধ্যে সামান্য একটু ভুল আছে ; রবীন্দ্রনাথ আমেদাবাদে থাকিতে এই পুস্তক প্রকাশিত হয় নাই। ১৮৭৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি বিলাত যাত্রা করেন। কবি-কাহিনী ৫ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। মুদ্রিত পুস্তক তিনি দেখিয়া যাইতে পারেন নাই। রবীন্দ্রনাথ-উল্লিখিত “উৎসাহী বন্ধু”ই ‘কবি-কাহিনীর প্রকাশক প্ৰবোধচন্দ্র ঘোষ। . বন-ফুল ‘বন-ফুল রবীন্দ্রনাথ-লিখিত সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। ইহা ১২৮৬ সালে [ ৯ মার্চ ১৮৮০] প্রকাশিত হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৯৩ ৷ ইহা পুনরামুদ্রিত হয় নাই । এই কাব্যের রচনাকাল অন্তত আরো চার বৎসর পূর্বে। কারণ, “জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব’-নামক মাসিক পত্রে (সম্পাদক শ্ৰীকৃষ্ণ দাস) ১২৮২ সালের অগ্রহায়ণ হইতে ১২৮৩ সালের আশ্বিন-কার্তিক পর্যন্ত ইহা ধারাবাহিক ভাবে প্ৰকাশিত হয় । প্ৰসঙ্গত এখানে বলিয়া রাখা উচিত যে, অগ্রহায়ণ সংখ্যা পত্রিকা ১৪ ফাল্লুন প্রকাশিত হইয়াছিল। মধ্যে কয়েক সংখ্যা পত্রিকায় (পৌষ, ফায়ুন ১২৮২ ; বৈশাখ, আষাঢ় ১২৮৩) বন-ফুল’ বাহির হয় নাই । ভগ্নহৃদয় এই বিচিত্র নাট্য-কাব্যখনি ১৮০৩ শকে [ ২৩ জুন ১৮৮১] মুদ্রিত হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ১৯৬ । ইহা পুনরামুদ্রিত হয় নাই। সমগ্ৰ পুস্তক মোট ৩৪ সর্গে সমাপ্ত । ১২৮৭ সালের কার্তিক হইতে ফায়ূন অবধি "ভারতী” পত্রে ধারাবাহিকভাবে ইহার প্রথম ছয় সর্গ বাহির হয়।