Soğ রবীন্দ্র-রচনাবলী যক্ষের বিরহ চলে অবিশ্রাম অলকার পথে পবনের ধৈর্যহীন রথে বর্ষাবাপ-ব্যাকুলিত দিগন্তে ইঙ্গিত-আমন্ত্রণে গিরি হতে গিরিশীর্ষে বন হতে বনে । সমুখস্থক বলাকার ডানার আনন্দ-চঞ্চলত তারি সাথে উড়ে চলে বিরহীর আগ্রহ-বারতা চিরদূর স্বৰ্গপুরে, ছায়াচ্ছন্ন বাদলের বক্ষোদীর্ণ নিশ্বাসের স্বরে নিবিড় ব্যথার সাথে পদে পদে পরমসুন্দর পথে পথে মেলে নিরস্তর। " পথিক কালের মর্মে জেগে থাকে বিপুল বিচ্ছেদ ; পূর্ণতার সাথে ভেদ মিটাতে সে নিত্য চলে ভবিষ্যের তোরণে তোরণে নব নব জীবনে মরণে । এ বিশ্ব তো তারি কাব্য, মন্দাক্রান্তে তারি রচে টীকা বিরাট দুঃখের পটে আনন্ধের স্থদুর ভূমিকা। ধন্ত যক্ষ সেই স্বাক্টর আগুন-জালা এই বিরহেই । হোথা বিরহিণী ও যে স্তন্ধ প্রতীক্ষায়, দও পল গনি গনি মন্থর দিবস তার যায় । সম্মুখে চলার পথ নাই, রুদ্ধ কক্ষে তাই আগম্ভক পান্থ-লাগি ক্লাভিভারে ধূলিশায়ী আশ। কবি তারে দেয় নাই বিরহের তীর্থগামী ভাষ।।
