পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ օԵ রবীন্দ্র-রচনাবলী ছেড়া মোজা শেলাই করার এল যুগান্তর, বাজারদরের ঠকা নিয়ে চাকরগুলোর সঙ্গে বকবিকির, চ-পান-সভায় হাটুজলের সখ্যসাধনার। কিন্তু আমার স্বভাববশে ঘোর ভাঙে নি যখন ভোলামনে এলুম তোমার কাছাকাছি। চেনাশোনার প্রথম পালাতেই পড়ল ধরা, একেবারে দুর্লভ নও তুমি— আমার লক্ষ্য-সন্ধানেরই আগেই তোমার দেখি আপনি বাধন-মানা । হায় গো রাজার পুত্র, একটু পরশ দেবামাত্র পড়ল মুকুট খসে আমার পায়ের কাছে, কটাক্ষেতে চেয়ে তোমার মুখে হেসেছিলুম আবিল চোখের বিহ্বলতায় । তাহার পরে হঠাৎ কবে মনে হল— দিগন্ত মোর পাংশু হয়ে গেল, মুখে আমার নামল ধূসর ছায়া ; পাখির কণ্ঠে মিইয়ে গেল গান, পাখায় লাগল উডুঙ্কু পাগলামি । পাখির পায়ে এটে দিলেম ফাস অভিমানের ব্যঙ্গস্বরে, বিচ্ছেদেরই ক্ষণিক বঞ্চনায়, কটুরসের তীব্র মাধুরীতে। এমন সময় বেড়াজালের ফাকে পড়ল এসে আরেক মায়াবিনী ; রণিত তার নাম । এ কথাটা হয়তো জান—