পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঁশরি Sb-g আমার স্ত্রীর নাম পুপ । রসিকবন্ধু তার কবিতায় আমাকে খেতাব দিলে পুস্পচোর। কবিতাটার হেডিং ছিল চোর-পঞ্চাশিকা। কবিকে প্রশ্ন করলেম, চোর-পঞ্চাশিকার একটা কবিতাই তো দেখছি, বাকি উনপঞ্চাশটা গেল কোথায় । উত্তর পেলেম, তারা উনপঞ্চাশ পবনরূপে বরের হৃদয়গহবরে বেড়াচ্ছে ঘুরপাক দিয়ে। সোমশংকর। এর থেকে প্রমাণ হয় আমার রসিকবন্ধু নেই, তাই গাম্ভীর্য রয়েছে ঘনিয়ে । তারক । আমাদের পাড়ার লক্ষ্মীছাড়ার দল অশোক গুপ্তদের বাগানে দৰ্ম-ঘেরা একটা পোড়ো ফর্নরিতে ক্লাব করেছে । আপিস থেকে ফিরে এসে সেইখানে সন্ধেবেলায় বিষম হল্লা করতে থাকে। সাত্বনা দেবার জন্তে আমরা লক্ষ্মীমস্তরা ওদের নিমন্ত্রণ করছি । তোমাকে প্রিজাইল্ড করতে হবে। সোমশংকর। শুনেছি বৈকুণ্ঠলুণ্ঠন পাচালি লিখে ওরা আমাকে লক্ষ্মীহারী দৈত্য বানিয়েছে । তারক । সে কথা সত্যি । ওদের টেম্পেরেচর কমানো দরকার হয়েছে । সোমশংকর। বৈধ উপায়ে ওদের ঠাণ্ডা করতে রাজি আছি। তারক । আমাদের কমলবিলাস সেনগুপ্তকে দিয়ে একটা নিমন্ত্রণপত্র রচিয়ে নিয়ে এলুম। সোমশংকর ৷ পড়ে শোনাও । তারক । প্রজাপতি র্যাদের সাথে পাতিয়ে আছেন সখ্য, আর র্যারা সব প্রজাপতির ভবিষ্যতের লক্ষ্য, উদরসেবার উদার ক্ষেত্রে মিলুন উভয় পক্ষ, রসনাতে রসিয়ে উঠুক নানা রসের ভক্ষ্য। সত্যযুগে দেবদেবীদের ডেকেছিলেন দক্ষ, অনাহূত পড়ল এসে মেলাই যক্ষ রক্ষ, আমরা সে-ভুল করব না তো, মোদের অন্নকক্ষ দুই পক্ষেই অপক্ষপাত দেবে ক্ষুধার মোক্ষ। আজও ধারা বাধন-ছাড়া ফুলিয়ে বেড়ান বক্ষ বিদায়কালে দেব তাদের আশিস লক্ষ লক্ষ, র্তাদের ভাগ্যে অবিলম্বে জুটুন কারাধ্যক্ষ, এর পরে আর মিল মেলে না— য র ল ব হ ক্ষ । ঐ আসছে ওদের দল ।