きめe রবীন্দ্র-রচনাবলী বড়ো স্তাক্রিফাইস । যেদিন কোনে কারণে তায় দলের লোকের অভাব হয়েছে সেদিন জামিও তার উৎসাহের মোঁতাত জোগাবার জন্তে বলেছি, ‘জমিয়া, ব্যক্তিগত মাস্থষের সঙ্গে সম্বন্ধ তোর জন্তে নয়, তোর জন্তে বর্তমান যুগ । আমার কথাটা সে গষ্ঠীরমুখে নীরবে মেনে নিয়েছে। জেলে যাওয়ার পর থেকে আমার হালি অন্তঃশীলা বইছে— যারা আমাকে চেনে না তার বাইরে থেকে আমাকে খুব গভীর বলেই মনে করে। বিছানায় একলা পড়ে পড়ে কড়িকাঠের দিকে চেয়ে চেয়ে ভাবছি, বিমুখী বান্ধবা স্বাছি । হঠাৎ মনে পড়ে গেল, সেদিন কোথা থেকে একটা ভাঙলা কুকুর আমার বারাদার কোণে আশ্রয় খুজছিল। গায়ের রোওয়া উঠে গেছে, জীর্ণ চামড়ার তলায় কঙ্কালের আব্রু নেই— আধমরা তার অবস্থা । অত্যন্ত ঘৃণার সঙ্গে তাকে দূর-দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিলেম। আজ ভাবছিলেম, এতটা বেশি ঝাজের সঙ্গে তাকে তাড়ালেম কেন। বেগামা কুকুর বলে নয়, ওর সর্বাঙ্গে মরণদশা দেখা দিয়েছে বলে। প্রাণের সংগীতসভায় ওর অস্তিত্বট বেঙ্করো, ওর ক্ষগণতা বেয়াদবি । ওর সঙ্গে নিজের তুলনা মনে এল। চারি দিকের চলমান প্রাশের ধারার মধ্যে আমার অস্বাস্থ্য একটা স্থাবর পদার্থ, স্রোতের বাধা । সে দাবি করে, “শিয়রের কাছে চুপ করে বসে থাকে৷ ” প্রাণের দাবি, ‘দিকে বিদিকে চলে বেড়াও ।” রোগের বাধনে বে নিজে বন্ধ অরোগীকে সে বন্দী করতে চায়— এটা একটা অপরাধ। অতএব, জীবলোকের উপর সব দাৰি একেবারে পরিত্যাগ করব মনে করে গীতা খুলে বসলেম । প্রায় যখন স্থিতধী অবস্থায় এসে পোঁচেছি, মনটা রোগ-মরোগের স্বস্ব ছাড়িয়ে গেছে, এমন সময় অনুভব করলেম, কে আমার পা ছুঁয়ে প্রশাম করলে । গীতা থেকে চোখ নামিয়ে দেখি, পিলিমার শোষ্যমণ্ডলীভুক্ত একটি মেয়ে। এপর্যন্ত দূরের থেকেই সাধারণভাবেই তাকে জানি ; বিশেষভাবে তার পরিচয় জানি নে— তার নাম পর্যন্ত আমার অবিদিত । মাথায় ঘোমটা টেনে ধীরে ধীরে সে আমার পায়ে হাত বুলিয়ে দিতে লাগল । তখন মনে পড়ল, মাঝে মাঝে সে আমার দরজার বাইরের কোণে ছায়ার মতো এসে বার বার ফিরে ফিরে গেছে। বোধ করি সাহস করে ঘরে ঢুকতে পারে নি। আমার অজ্ঞাতসারে আমাৰ মাথা-ধরার, গায়ে-ব্যথার ইতিবৃত্তান্ত সে আড়াল থেকে অনেকট জেলে গিয়েছে । আজ দে লজ্জাভয় দূর করে ঘরের মধ্যে এসে প্রণাম করে বসল । আমি যে একদিন একজন মেয়েকে অপমান থেকে বাচাবার জন্তে দুঃখDBBB BB BBBB BBBS BB BBBBSB BBBB BBD BBB BB BBB পায়ের কাছে তারই প্রাপ্তিক্ষীকায় করতে এসেছে । জেল থেকে বেরিয়ে অনেক
