পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 8ጻዒ দিনগুলি মোর-ওরি ডাকে যায় ভেসে যায় বাকে বাকে উদেশহীন অকৰ্মণ্যতার । ১মংপু ২৩|৫৩৯ প্যাডটা ফেলে দিলেন—“লও, কপি কর খাতায় ।” তার পরদিন সকালবেলায় খাতাটা দিয়ে বলেন— “হে তরুণী আর একবার কপি করতে হচ্ছে।” তখন দেখি কবিতাটা আরো অনেক বদলে গেছে, তার প্রথম লাইনটা হয়েছে– “কে অসীমের লীলার কর্ণধার।” এমনি ক’রে পরিবর্তিত পরিবর্ধিত হতে হতে বেশ কয়েকদিন পরে সে এক সম্পূর্ণ অন্ত কবিতা হয়ে দাড়াল— ছুটির কর্ণধার দখিন হাওয়ায় দিচ্ছ পাড়ি, কর্মনদীর পার । নীল আকাশের মৌনখানি আনে দূরের দৈববাণী মন্থর দিন তারি ডাকে যায় ভেসে যায় বাকে বাকে ভাটার স্রোতে উদেশহীন কর্মহীনতার তুমি তখন ছুটির কর্ণধার শিরায় শিরায় বাজিয়ে তোলে৷ নীরব ঝংকার— ইত্যাদি । কয়েক মাস পরে তার যে সংস্করণ 'সানাই'-তে প্রকাশ হ’ল তাকে আর চেনবার জো নেই। —মংপুতে রবীন্দ্রনাথ, পৃ ১৭৭-৭৯ সানাই প্রকাশের পূর্বে ১৩৪৬ অগ্রহায়ণের প্রবাসীতে ‘লীলা নামে উক্ত কবিতাটির আর একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পাঠ মুদ্রিত হইয়াছিল— ठौळी ওগো কর্ণধার স্বষ্টি তোমার ভাসান খেলায় লীলার পারাবার । ১ কবিতাটির এই পাঠের রচনার স্থানকালনির্দেশ মূল পাণ্ডুলিপি হইতে উদ্ধৃত হইল।