পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ᏜᏭ রবীন্দ্র-রচনাবলী মণ্টেগু সাহেব তার বর্তমান পদপ্রাপ্তির পূর্বে ভারত-আমলাতন্ত্র সম্বন্ধে দুই-চারটে স্পষ্ট কথা বলিয়াছিলেন, তাই লইয়া কেবল যে গালিগালাজের সাইক্লোন বহিতেছে তা নয়, মণ্টেগু সাহেবের শক্তি ও স্বাধীনতার চুড়া ভাঙিয়া গিয়াছে। —প্রবাসী, ১৩২৪ অগ্রহায়ণ, পৃ. ১২৭-২৮ উক্ত প্রবন্ধে, বর্তমান খণ্ডের ২৯৩ পৃ ৮ ছত্রে ‘আমাদিগকে নিজের শক্তিতেই’ ইত্যাদি বাক্যের পূর্বে, প্রবাসীতে পাওয়া যায়— তাহাই সকলের চেয়ে কঠোর বিচ্ছেদ । যে সাম্রাজ্যগঠনে আমরা ইটকাঠের মতো কেবল উপকরণ মাত্র সে সাম্রাজ্য আমাদের নহে। যে সাম্রাজ্যগঠনে আমাদিগকেও কারিগর নিযুক্ত করা হইবে তাহাই আমাদের। সেই সাম্রাজ্যে আমরা প্রাণ পাইব এবং সেই সাম্রাজ্যের জন্ত আমরা প্রাণ দিব। —প্রবাসী, ১৩২৪ অগ্রহায়ণ, পৃ ১৩৪ “সত্যের আহবান’ ( ও “শিক্ষার মিলন’ ) প্রবন্ধ দুইটি কলিকাতার জনসভায় পাঠ করিয়া রবীন্দ্রনাথ, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যে অসহযোগ আন্দোলন চলিতেছিল সে-সম্বন্ধে স্বীয় অভিমত দেশবাসীকে জ্ঞাপন করেন । ‘সমস্যা’ প্রবন্ধ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ শ্ৰীঅমিয় চক্রবর্তীকে লিখিয়াছেন— ‘সমস্যা বক্তৃতাটাকে বহুল পরিমাণে মেজে ঘষে জনসভায় একদিন পড়েছিলুম। অধিকাংশ লোক বলছে কিছু বোঝা গেল না— সেটা একেবারে বাজে কথা— আসলে, ওদের বুঝতে ভালো লাগছে না। কেউ কেউ বলে আমার কথাগুলো কবির মতো, শুনতে ভালো, কাজে ভালো নয়। আর কিছুদিন পরে এই কথাগুলো তারা আওড়াবে— অম্লানবদনে বলবে ওগুলো তাদেরই চিরদিনের নিজের ভাবা কথা । ২৪ আশ্বিন, ১৩৩০ —শারদীয়া সংখ্যা, দৈনিক বসুমতী ১৩৫৪ ‘সমাধান প্রবন্ধটির উপসংহার প্রবাসীতে অন্তরূপ ছিল । বর্তমান খণ্ডে ৩৬২ পৃ ১১ ছত্রের অনুক্রমে ছিল— এইখানে গীতার উপদেশ আমাদের মনে করিয়ে দিতে হয় যে, কাজেরই অধিকার আমাদের, ফলের অধিকার নয়। আশুফলের প্রতি অতিশয় লোভ করেই আমরা জাদুকরের শরণাপন্ন হই ; ফলের বদলে ফলের মরীচিকা দেখে নৃত্য করতে থাকি। তাতে সময়ও নষ্ট হয়, বুদ্ধিও নষ্ট হয়, ফলও নষ্ট হয়। তাতে বর্তমানকে ভোলাতে গিয়ে ভবিষ্যৎকে মাটি করি । —প্রবাসী, ১৩৩০ অগ্রহায়ণ, পৃ ১৬০