পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী নবীন কিরণকম্প ? মোর মুগ্ধ ভাবে আকাশ ধরণীতল আঁকা হয়ে যাবে হৃদয়ের রঙে— যা দেখে কবির মনে জাগিবে কবিতা, প্রেমিকের দু-নয়নে লাগিবে ভাবের ঘোর, বিহঙ্গের মুখে সহসা আসিবে গান। সহস্ত্রের মুখে রঞ্জিত হইয়া আছে সর্বাঙ্গ তোমার হে বস্তুধে, জীবস্রোত কত বারম্বার তোমারে মণ্ডিত করি আপন জীবনে গিয়েছে ফিরেছে, তোমার মৃত্তিকাসনে মিশায়েছে অস্তরের প্রেম, গেছে লিখে কত লেখা, বিছায়েছে কত দিকে দিকে ব্যাকুল প্রাণের আলিঙ্গন, তারি সনে আমার সমস্ত প্রেম মিশায়ে যতনে তোমার অঞ্চলখানি দিব রাঙাইয়া সজীব বরনে ; আমার সকল দিয়া সাজাব তোমারে । নদীজলে মোর গান পাবে না কি শুনিবারে কোনো মুগ্ধ কান নদীকূল হতে । উষালোকে মোর হাসি পাবে না কি দেখিবারে কোনো মর্ত্যবাসী নিদ্রা হতে উঠি । আজ শতবর্ষ পরে এ স্বন্দর অরণ্যের পল্লবের স্তরে কঁাপিবে না আমার পরান ? ঘরে ঘরে কত শত নরনারী চিরকাল ধরে পাতিবে সংসারখেলা, তাহাদের প্রেমে কিছু কি রব না আমি। আসিব না নেমে তাদের মুখের পরে হাসির মতন, তাদের সর্বাঙ্গমাঝে সরস যৌবন, তাদের বসন্ত-দিনে অকস্মাৎ মুখ, তাদের মনের কোণে নবীন উন্মুখ ృ\లిన్