পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फेिबांछालां আছে ; কত দৈন্ত আছে ; অাছে আজন্মের কত অতৃপ্ত তিয়াষা। সংসার-পথের পান্থ, ধূলিলিপ্তবাস বিক্ষতচরণ ; কোথা পাব কুসুম-লাবণ্য, দু-দণ্ডের জীবনের অকলঙ্ক শোভা । কিন্তু আছে অক্ষয় অমর এক রমণী-হৃদয় । দুঃখ সুখ আশা ভয় লজ্জা দুর্বলতা— ধূলিময়ী ধরণীর কোলের সস্তান, তার কত ভ্রাস্তি, তার কত ব্যথা, তার কত ভালোবাসা, মিশ্রিত জড়িত হয়ে আছে একসাথে । আছে এক সীমাহীন অপূর্ণতা, অনন্ত মহৎ । কুস্কমের সৌরভ মিলায়ে থাকে যদি, এইবার সেই জন্মজন্মান্তের সেবিকার পানে | eאל সূর্যোদয় অবগুণ্ঠন খুলিয়া আমি চিত্রাঙ্গদা । রাজেন্দ্রনন্দিনী । হয়তো পড়িবে মনে, সেই একদিন সেই সরোবরতীরে শিবালয়ে দেখা দিয়েছিল এক নারী, বহু আভরণে ভারাক্রাস্ত করি তার রূপহীন তনু । কী জানি কী বলেছিল নির্লজ্জ মুখর, পুরুষেরে করেছিল পুরুষ-প্রথায় আরাধনা ; প্রত্যাখ্যান করেছিলে তারে । ভালোই করেছ। সামান্ত সে নারীরূপে গ্রহণ করিতে যদি তারে, অনুতাপ বিধিত তাহার বুকে আমরণ কাল । প্রভু, আমি সেই নারী। তবু আমি সেই Sసెసా