পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী وا ه R নলিনাক্ষ । ঠিক । না আছে অর্থ, না আছে কিছু । চন্দ্রকস্তি । কিন্তু সত্যি কথা বলছি, ভাই নলিন, রাগ করিসনে, এ-সব কথা বিনদার মুখে যেমন মানায় তোর মুখে তেমন মানায় না। তুই কেমন ঠিক স্বরটি লাগাতে পারিসনে। বিহু যখন বলে জগংটা শূন্ত-তখন দেখতে দেখতে চোখের সামনে সমস্ত পৃথিবীটা যেন একটা ঘষা পয়সার মতো চেহারা বের করে। বিনোদবিহারী। চন্দ্র, তোমার কাছে কথা কয়ে স্থখ আছে, তার মধ্যে দুটো নতুন স্থর লাগাতে পার। নইলে নিজের প্রতিধ্বনি শুনে শুনে নিজের উপর বিরক্ত ধরে গেল । নলিনাক্ষ । ঠিক বলেছ। বিরক্ত ধরে গেছে। প্রাণের কথা কেউ বুঝতে

  • it८द् ना-- சி)

বিনোদবিহারী । নলিন, সকালবেলাটায় আর তোমার প্রাণের কথা তুলে না— একটু চুপ করে তো দাদা। আজ রবিবারটা আছে, আজ একটা কিছু করা যাক, যাতে মনট বেশ তাজা হয়ে ধড়ফড়িয়ে ওঠে । চন্দ্রকান্ত। ঠিক বলেছ। ওষুধের শিশির মতো নিদেন হস্তার মধ্যে একটা দিন নিজেকে খানিকটা বাকানি দিয়ে নেওয়া আবশ্বক— নইলে শরীরে যা কিছু পদার্থ ছিল সমস্তই তলায় খিতিয়ে গেল । কী করা যায় বলো দেখি । চলো, গড়ের মাঠে বেড়িয়ে আসা যাক । বিনোদবিহারী। হাঃ-গড়ের মাঠে কে যায়। তুমিও যেমন । চজকান্ত । তবে ক্লাবে চলো । বিনোদবিহারী। রাম ! কেবল কতকগুলো মচুন্যমূর্তি দেখে আসা, তাও আবার প্রায়ই চেনা লোক । চন্দ্রকান্ত । তবে এক কাজ করা যাক। চলে আমরা বোষ্টম ভিক্ষুক সেজে বেরিয়ে পড়ি— দেখি তিনটে প্রাণী সমস্ত দিন শহরে কত ভিক্ষে কুড়োতে পারি। বিনোদবিহারী । কথাটা মন্দ নয়, কিন্তু বড়ো ল্যাঠা । চন্দ্রকান্ত । তা হলে আর একটা প্ল্যান মাথায় এসেছে— বিনোদবিহারী । কী বলে দেখি । চন্দ্রকান্ত । যেমন আছি এমনিই বসে থাকি । বিনোদবিহারী । ঠিক বলেছ। সেটা এতক্ষণ আমার মাথায় আসেনি। আজ তবে এমনি বসে থাকাই যাক ।– দেখো দেখি চন্দর, একে কি বেঁচে থাকা বলে । সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কেবল কালেজ যাচ্ছি, আইন পড়ছি আর সেই