পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミソ R রবীন্দ্র-রচনাবলী দুশ্চিন্তার জায়গা জুড়ে বসে থাকেন— বেদনার উপরে যেমন বেলেস্তারা অন্যা ) ভবযন্ত্রণার উপরে স্ত্রীর প্রয়োগটাও তেমনি । পাশের বাড়ি হইতে গানের শব্দ বিনোদবিহারী। ঐ শোনো, সেই গান হচ্ছে । নিমাই । কার গান হে ? চন্দ্রকান্ত । চুপ করে খানিকটা শোনোই না ; পরে পরিচয় দেব। গান বিনোদবিহারী । চন্দ্র, আজ কী করব ভাবছিলুম, একটা মতলব মাথায় এসেছে । চন্দ্রকান্ত । কী বলো দেখি । বিনোদবিহারী । চলো— যে cमटश शान গায় ওর সঙ্গে আজই আমার বিয়ের সম্বন্ধ করে আসিগে । চন্দ্রকান্ত । বল কী ! 醇 বিনোদবিহারী । একটা তো কিছু করা চাই । আর তো বসে বসে ভালো লাগছে না । বিয়ে করে আসা যাকগে । অমনতরো গান শুনলে মানুষ খাম কা সকল রকম দুঃসাহসিক কাজই করে ফেলতে পারে । চন্দ্রকান্ত । কিন্তু দেখাশুনো তো করবে, আলাপ-পরিচয় তো করতে হবে ? আমাদের মতো তো আর বাপমায়ে দু-হাতে চোখ-কান বুজে ধরে বিয়ে গিলিয়ে দেবে না । বিনোদবিহারী । না, আমি তাকে দেখতে চাইনে । মনে করে আমি কেবল ওই গানকেই বিয়ে করছি। গান তো দৃষ্টিগোচর নয়। চন্দ্রকান্ত । বিহু, এ-কথাটা তোর মুখেও একটু বাড়াবাড়ি শোনাচ্ছে । কেবল গান বিয়ে করতে চাস তো একটা আর্গিন কেন না ? এ যে ভাই মানুষ, বড়ো সহজ জন্তু নয় ! এ যেমন গান গাইতে পারে তেমনি পাচ কথা শুনিয়ে দিতেও পারে। একই কণ্ঠ থেকে দু-রকম বিপরীত স্বর বের করতে পারে। গানটি পেতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আস্ত স্ত্রীলোকটিকেও নিতে হয় এবং তাকে নিতে গেলেই একটু দেখেশুনে নেওয়া ভালো । বিনোদবিহারী । না ভাই, আসল রত্নটুকুর অনুসন্ধান পাওয়া গেছে, এখন চোখ-কান বুজে সমুদ্রে বঁাপিয়ে পড়তে হবে । আহা, এক বার ভেবে দেখো দেগি