পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়ায় গলদ ९२१ ইন্দুমতী । সেই জন্যেই তো এত করে মুখস্থ করাচ্ছি। আচ্ছ, তুমি তবে চন্দ্রবাবু সাজে, আমি তোমার স্ত্রী সাজছি— ক্ষান্তমণি। না ভাই, সে অামি পারব না— ইন্দুমতী । তবে যা বলে দিয়েছি তাই করো। আচ্ছ, তবে আরম্ভ হোক। বড়োবউ, চাপকানটা খুলে আমার ধুতি-চাদরটা এনে দাও তো । ক্ষান্তমণি । ( উঠিয়া ) এই দিচ্ছি। ইন্দুমতী । ও কী করছ ! তুমি ওইখানে হাতের উপর মাথা রেখে বসে থাকে, বলো— নাথ, আজ সন্ধেবেলায় কী সুন্দর বাতাস দিচ্ছে । আজ আর কিছুতে মন লাগছে না, ইচ্ছে করছে পাখি হয়ে উড়ে যাই । ক্ষান্তমণি । ( যথাশিক্ষামতো ) নাথ, আজ সন্ধেবেলায় কী স্বন্দর বাতাস দিচ্ছে । আজ আর কিছুতে মন লাগছে না, ইচ্ছে করছে পাখি হয়ে উড়ে যাই। ইন্দুমতী। কোথায় উড়ে যাবে? তার আগে আমায় লুচি দিয়ে যাও, ভারি পিদে পেয়েছে— ক্ষান্তমণি । ( তাড়াতাড়ি উঠিয়া ) এই দিচ্ছি— ইন্দুমতী। এই দেখো, সব মাটি করলে। তুমি যেমন ছিলে তেমনি থাকে, বলো— লুচি ? কই, লুচি তো আজ ভজিনি। মনে ছিল না। আচ্ছা, লুচি কাল হবে এখন। আজ এস এখানে এই মধুর বাতাসে বসে— চন্দ্রকাস্ত । ( নেপথ্য হইতে ) বড়োবউ। ইন্দুমতী। ওই চন্দ্রবাবু আসছেন । আমাকে দেখতে পেয়েছেন বোধ হল । তুমি ব’লো তো ভাই, বাগবাজারের চৌধুরীদের কাদম্বিনী। আমার পরিচয় দিয়ে না, লক্ষ্মীটি, মাথা খাও ! [ পলায়ন পঞ্চম দৃশ্য পাশ্বের ঘর নিমাই আসীন চাপকান-শামলাপরা ইন্দুমতীর ছুটিয়া প্রবেশ নিমাই । এ কী ! ইন্দুমতী । ছি ছি, আর-একটু হলেই চন্দ্রবাবুর কাছে এই বেশে ধরা পড়তুম। তিনি কী মনে করতেন ? আমাকে বোধ হয় দেখতে পাননি। (হঠাৎ নিমাইকে