পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8० ब्ररोौडल-ब्रछनांवढनौ নিয়ে যাব— এ তো আমাকেই লিখেছেন। আমার এমনি আনন্দ হচ্ছে । ইচ্ছে করছে এখনি দিদিকে গিয়ে জড়িয়ে ধরি গে ! আহা, দিদি যাকে বিয়ে করছে তাকে নিয়ে যেন খুব খুব খুব স্বথে থাকে – যেন চিরজীবন আদরে সোহাগে কাটাতে পারে। ( প্রস্থানোন্তম । পশ্চাতে ফিরিয়া নিমাইকে দেখিয়া ) ও মা ! [ মুখ আচ্ছাদন নিমাই। ঠাকরুন, আমি একখানা খাতা খুজতে এসেছিলুম— ( ইন্দুমতীর ক্রত পলায়ন ) জন্ম জন্ম সহস্ৰ বার আমার সহস্র খাতা হারাক— কবিতার বদলে যা পেয়েছি কালিদাস র্তার কুমারসম্ভব শকুন্তলা বাধা রেখে এমন জিনিস পায় না । [ মহা উল্লাসে প্রস্থান তৃতীয় দৃশ্য বিবাহসভা লোকারণ্য। শঙ্খ, হুলুধ্বনি । শানাই নিবারণ। কানাই ! ও কানাই ! কী করি বলে দেখি । কানাই গেল কোথায় ? শিবচরণ। তুমি ব্যস্ত হোয়ো না ভাই । এ ব্যস্ত হবার কাজ নয়। আমি সমস্ত ঠিক করে দিচ্ছি। তুমি পাত পাড়া হল কি না দেখে এস দেখি । ভৃত্য । বাবু, আসন এসে পৌছেছে সেগুলো রাখি কোথায় ? নিবারণ এসেছে ! বাচা গেছে। তা সেগুলো ছাতে— শিবচরণ। ব্যস্ত হচ্ছ কেন দাদা। কী হয়েছে বলো দেখি ? কী রে বেটা, তুই স্থা করে দাড়িয়ে রয়েছিস কেন ? কাজকর্ম কিছু হাতে নেই না কি। ভৃত্য । আসন এসেছে সেগুলো রাখি কোথায় তাই জিজ্ঞাসা করছি। শিবচরণ। আমার মাথায় ! একটু গুছিয়ে গাছিয়ে নিজের বুদ্ধিতে কাজ করা, তা তোদের দ্বারা হবে না ! চল আমি দেখিয়ে দিচ্ছি। ওরে বাতিগুলো যে এখনো জালালে না ! এখানে কোনো কাজেরই একটা বিধিব্যবস্থা নেই— সমস্ত বে-বন্দোবস্ত! নিবারণ, তুমি ভাই একটু ঠাণ্ডা হয়ে বসে দেখি— ব্যস্ত হয়ে বেড়ালে কোনো কাজই হয় না। আঃ বেটাদের কেবল ফাকি । বেহার বেটারা সবাই পালিয়েছে দেখছি— আচ্ছা করে তাদের কানমলা না দিলে—