পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়ায় গলদ ২৬৭ বলছেন তাকে বিয়ে কর । তুই কি সেই মিথ্যেবাদী অবিশ্বাসীর জন্তে চিরজীবন কুমারী হয়ে থাকবি । একে বেশি বয়স পর্যন্ত মেয়ে রাখার জন্তে কাকাকে প্রায় একঘরে করেছে। ইন্দুমতী । তা, দিদি, কলাগাছ তো আছে । সে তো কোনো উৎপাত করে না। ঐ বাবা আসছেন, আমি যাই ভাই । [ প্রস্থান নিবারণের প্রবেশ নিবারণ। কী করি বল তো মা। ললিত চাটুজ্যে যা বলেছে সে তো সব শুনেছিস । সে বিনোদকে কেবল মারতে বাকি রেখেছে, অপমান যা হবার তা হয়েছে । কমলমুখী । না কাক, তার কাছে ইন্দুর নাম করা হয়নি, আপনার মেয়ের কথা হচ্ছে তাও সে জানে না । নিবারণ। ইদিকে আবার শিবুকে কথা দিয়েছি তাকেই বা কী বলি। আবার মেয়ের পছন্দ না হলে জোর করে বিয়ে দেওয়া সে আমি পারব না— একটি যা হয়ে গেছে তারই অমুতাপ রাখবার জায়গা পাচ্ছিনে । তুমি মা, ইন্দুকে বলে কয়ে ওদের দু-জনের দেখা করিয়ে দিতে পার তো বড়ো ভালো হয় । আমি নিশ্চয় জানি ওরা পরস্পরকে এক বার দেখলে পছন্দ না করে থাকতে পারবে না । নিমাই ছেলেটিকে বড়ো ভালো দেখতে— তাকে দর্শনমাত্রেই স্নেহ জন্মায় । কমলমুখী । নিমাইয়ের মনের ইচ্ছে কী সেটাও তো জানতে হবে কাকা । আবার কি এইরকম একটি কাও বাধানে ভালো । নিবারণ । সে আমি তার বাপের কাছে শুনেছি । সে বলে আমি উপার্জন না করে বিয়ে করব না । সে তো আমার মেয়েকে কখনে চক্ষে দেখেনি। একবার দেখলে ও-সব কথা ছেড়ে দেবে। বিশেষ, তার বাপ তাকে খুব পীড়াপীড়ি করছে। আমি চন্দ্রবাবুকে বলে তাকে একবার ইন্দুর সঙ্গে দেখা করতে রাজি করব । চন্দ্রবাবুর কথা সে খুব মানে । কমলমুখী । তা ইন্দুকে আমি সম্মত করাতে পারব । [ নিবারণের প্রস্থান ইন্দুমতীর প্রবেশ কমলমুখী । লক্ষ্মী দিদি আমার, আমার একটি অনুরোধ তোকে রাখতে হবে । हेन्नूभउँौ । कौ वन् न डांझे । কমলমুখী। একবার নিমাইবাবুর সঙ্গে তুই দেখা কর।