পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३ b” ● রবীন্দ্র-রচনাবলী জমিয়েছি— একে একে তোদের দুটিকে আইবুড়ো-কুল থেকে বিবাহ-কুলে পার করে দিয়েছি— মিস্টার চাটুজ্যেকেও একইাটু কাদার মধ্যে নাবিয়ে দিয়ে এসেছি, এখন আর কে কে যাত্ৰী আছে ডাক দাও— বিনোদবিহারী। এখন এই অনাথ যুবকটিকে পার করে দাও। নলিনাক্ষ । বিহু ভাই, আর কেউ নয়, কেবল তুমি যাকে পছন্দ করে দেবে, আমি তাকেই নেব । দেখেছি তোমার সঙ্গে আমার রুচির মিল হয় । বিনোদবিহারী। তাই সই। তবে আমি সন্ধানে বেরোব । চন্দরদার আবার চাদর বদলাতে বড়ো বিলম্ব হয় দেখেছি । ততক্ষণ আমিই খেয়া দেব । নিমাই । আজ তবে সভ্যভঙ্গ হোক । ওদিকে যতই রাত বয়ে যাচ্ছে আমাদের চন্দ্র ততই মান হয়ে আসছেন। চন্দ্রকান্ত । উত্তম প্রস্তাব । কিন্তু আগে আমাদের ভাগ্যলক্ষ্মীদের একটি বন্দনা গেয়ে তার পরে বেরোনো যাবে । এটি বিরহকালে আমার নিজের রচনা— বিরহ না হলে গান বঁাধবার অবসর পাওয়া যায় না । মিলনের সময় মিলনটা নিয়েই কিছু ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকতে হয় । গান। প্রথমে চন্দ্র পরে সকলে মিলিয়া বাউলের স্বর যার অদৃষ্টে যেমনি জুটুক তোমরা সবাই ভালো ! আমাদের এই আঁধার ঘরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জালো । কেউ বা অতি জল-জল, ८क ऊँ द ब्रॉन छ्ल-छ्ल, কেউ বা কিছু দহন করে, কেউ বা স্নিগ্ধ আলো । নূতন প্রেমে নূতন বধু আগাগোড়া কেবল মধু, পুরাতনে অম্লমধুর একটুকু ঝাঝালো । বাক্য যখন বিদায় করে, চক্ষু এসে পায়ে ধরে, রাগের সঙ্গে অতুরাগে সমান ভাগে ঢালো । আমরা তৃষ্ণা তোমরা স্বধা, তোমরা তৃপ্তি আমরা ক্ষুধা, তোমার কথা বলতে কবির কথা ফুরালো । যে যুতি নয়নে জাগে সবই আমার ভালো লাগে— কেউ বা দিব্যি গৌরবরন, কেউ বা দিব্যি কালে ।