পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখেয় ৰালি అst স্থান নাই, তোমার সর্থীরও পালাইবার তাড়া দেখি না— স্বতরাং দেখা যাঝে মাৰে হুইবেই, এবং দেখা হইলে ভদ্রত রক্ষা করিবে, তোমার স্বামীর সেটুকু শিক্ষা चांटझ् ।” মহেন্দ্ৰ মনে স্থির করিয়া রাখিয়াছিল, বিনোদিনী এখন হইতে কোনো-না-কোনো ছুতায় দেখা দিবেই । ভুল বুঝিয়াছিল। বিনোদিনী কাছ দিয়াও যায় না— দৈবাৎ যাতায়াতের পথেও দেখা হয় না । পাছে কিছুমাত্র ব্যগ্রতা প্রকাশ হয় বলিয়া মহেন্দ্র বিনোদিনীর প্রসঙ্গ স্ত্রীর কাছে উত্থাপন করিতে পারে না । মাঝে মাঝে বিনোদিনীর সঙ্গলাভের জন্য স্বাভাবিক সামান্ত ইচ্ছাকেও গোপন ও দমন করিতে গিয়া মহেন্দ্রের ব্যগ্রতা আরো যেন বাড়িয়া উঠিতে থাকে। তাহার পরে বিনোদিনীর ঔদাস্তে তাহাকে আরো উত্তেজিত করিতে থাকিল । 瞳 বিনোদিনীর সঙ্গে দেখা হইবার পরদিনে মহেন্দ্র নিতান্তই যেন প্রসঙ্গক্রমে হাস্তচ্ছলে আশাকে জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা, তোমার অযোগ্য এই স্বামীটিকে চোখের বালির কেমন লাগিল ।” প্রশ্ন করিবার পূর্বেই আশার কাছ হইতে এ-সম্বন্ধে উচ্ছাসপূর্ণ বিস্তারিত রিপোর্ট পাইবে, মহেঞ্জের এরূপ দৃঢ় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেজন্য সবুর করিয়া যখন ফল পাইল না, তখন লীলাচ্ছলে প্রশ্নটা উত্থাপন করিল। আশা মুশকিলে পড়িল । চোখের বালি কোনো কথাই বলে নাই। তাহাতে আশা সখীর উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়াছিল । স্বামীকে বলিল, “রোসো, দু-চারি দিন আগে আলাপ হউক, তার পরে তো বলিবে । কাল কতক্ষণেরই বা দেখা, কটা কথাই বা হইয়াছিল।” t ইহাতেও মহেন্দ্র কিছু নিরাশ হইল এবং বিনোদিনী সম্বন্ধে নিশ্চেষ্টত দেখানে তাহার পক্ষে আরো দুরূহ হইল । এই-সকল আলোচনার মধ্যে বিহারী আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কী মহিনদা, অাজ তোমাদের তর্কটা কী লইয়া ।” মহেন্দ্ৰ কহিল, “দেখে তো ভাই, কুমুদিনী না প্রমোদিনী না কার সঙ্গে তোমার বোঠান চুলের দড়ি না মাছের কাটা না কী একটা পাতাইয়াছেন, কিন্তু আমাকেও তাই বলিয়া তার সঙ্গে চুরোটের ছাই কিংবা দেশালাইয়ের কাঠি পাতাইতে হইবে, এ হইলে তেশ বাচা যায় না ।” আশার ঘোমটার মধ্যে নীরবে তুমুল কলহ ঘনাইয়া উঠিল। বিহার ক্ষণকাল د 8 سO\