পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী নগ্নশির, সজ্জা নাই, লজ্জণ নাই ধড়ে— কাছা-র্কোচা শতবার খসে খসে পড়ে । অস্তিত্ব আছে না আছে, ক্ষীণ খর্বদেহ, বাক্য যবে বাহিরায় না থাকে সন্দেহ । এতটুকু যন্ত্র হতে এত শব্দ হয় দেখিয়া বিশ্বের লাগে বিষম বিস্ময় । না জানে অভিবাদন, না পুছে কুশল, পিতৃনাম শুধাইলে উদ্যত মুষল । সগর্বে জিজ্ঞাসা করে, “কৗ লয়ে বিচার, শুনিলে বলিতে পারি কথা দুই-চার, ব্যাখ্যায় করিতে পারি উলট-পালট ।” সমস্বরে কহে সবে— “হিং টিং ছটু ।” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি ভনে, শুনে পুণ্যবান । স্বপ্নকথা শুনি মুখ গম্ভীর করিয়া কহিল গৌড়ীয় সাধু প্রহর ধরিয়া, “নিতান্ত সরল অর্থ, অতি পরিষ্কার, বহু পুরাতন ভাব, নব আবিষ্কার । ত্র্যস্বকের ত্রিনয়ন ত্রিকাল ত্রিগুণ শক্তিভেদে ব্যক্তিভেদ দ্বিগুণ বিগুণ । বিবর্তন আবর্তন সস্বতন আদি জীবশক্তি শিবশক্তি করে বিসম্বাদী । আকর্ষণ বিকর্ষণ পুরুষ প্রকৃতি আণব চৌম্বকবলে আকৃতি বিকৃতি । কুশগ্রে প্রবহমান জীবাত্মবিদ্যুৎ ধারণ পরম শক্তি সেথায় উদ্ভূত । ত্রয়ী শক্তি ক্রিস্বরূপে প্রপঞ্চে প্রকট— ংক্ষেপে বলিতে গেলে, হিং টিং ছট্‌ ৷” Wood: