পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:Ջն * রবীন্দ্র-রচনাবলী বিহারী ক্ষণকাল স্তন্ধ হইয়া রহিল। তাহার পর দৃঢ়স্বরে বলিল, “সে তোমার নহে। আমি তাহাকে চুরি করিয়া আনি নাই, সে নিজে আমার কাছে আসিয়া थुबू निम्नटिझ ।” * धरझ्या ग्रंॐन कब्रिग्रा खेटैिल, “भिथा कथा " ७झे बनिग्रा भांविर्डौं घ८ब्रव्र क्रक দ্বারে আঘাত দিতে দিতে উচ্চস্বরে ডাকিল, “বিনোদ, বিনোদ ।” ঘরের ভিতর হইতে কান্নার শব্দ শুনিতে পাইয়া, বলিয়া উঠিল, “ভয় নাই বিনোদ । আমি মহেন্দ্র, আমি তোমাকে উদ্ধার করিয়া লইয়া যাইব— কেহ তোমাকে বন্ধ করিয়া রাখিতে পারিবে না ।” বলিয়া মহেন্দ্র সবলে দ্বারে ধাক্কা দিতেই দ্বার খুলিয়া গেল। ভিতরে ছুটিয়া গিয়া দেখিল, ঘরে অন্ধকার। অক্ষুট ছায়ার মতো দেখিতে পাইল, বিছানায় কে যেন ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া অব্যক্ত শব্দ করিয়া বালিশ চাপিয়া ধরিল। বিহারী তাড়াতাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকিয় বসন্তকে বিছানা হইতে কোলে তুলিয়া সাধনার স্বরে বলিতে লাগিল, “ভয় নাই বসন্ত, ভয় নাই, কোনো ভয় নাই ।” মহেন্দ্র তখন দ্রুতপদে বাহির হইয়া বাড়ির সমস্ত ঘর দেখিয়া আসিল । যখন ফিরিয়া আসিল, তখনো বসন্ত ভয়ের আবেগে থাকিয়া থাকিয়া কাদিয়া উঠিতেছিল, বিহারী তাহার ঘরে আলো জালিয়া তাহাকে বিছানায় শোয়াইয়া গায়ে হাত বুলাইয়া তাহাকে ঘুম পাড়াইবার চেষ্টা করিতেছিল। মহেন্দ্র আসিয়া কহিল, “বিনোদিনীকে কোথায় রাথিয়াছ ।” বিহারী কহিল, “মহিনদা, গোল করিয়ো না, তুমি অকারণে এই বালককে ষেরূপ ভয় পাওয়াইয়া দিয়াছ, ইহার অস্থখ করিতে পারে। আমি বলিতেছি, বিনোদিনীর খবরে তোমার কোনো প্রয়োজন নাই ।” মহেন্দ্ৰ কহিল, “সাধু, মহাত্মা, ধর্মের আদর্শ খাড়া করিয়ে না। আমার স্ত্রীর এই ছবি কোলে করিয়া রাত্রে কোন দেবতার ধ্যানে কোন পুণ্যমন্ত্র জপ করিতেছিলে ? ভও * বলিয়া, ছবিখানি মহেন্দ্র ভূমিতে ফেলিয়া জুতাস্বদ্ধ পা দিয়া তাহার কাচ চূর্ণ চুর্ণ করিল এবং প্রতিমূর্তিটি লইয়া টুকরা টুকরা করিয়া ছিড়িয়া বিহারীর গায়ের উপর ফেলিয়া দিল । তাহার মত্ততা দেখিয়া বসন্ত আবার ভয়ে কাদিয়া উঠিল। বিহারীর কণ্ঠ রুদ্ধপ্রায় হইয়া আসিল— স্বারের দিকে হস্তনির্দেশ করিয়া কহিল, “যাও ।” মহেন্দ্র ঝড়ের বেগে বাহির হইয়া চলিয়া গেল ।