পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8s e রবীন্দ্র-রচনাবলী নিমগ্ন করিয়া রাখা যায় বলিয়া তাহার গৌরব আমরা বুঝিতে পারি না— যাহা চঞ্চল ছলনামাত্র, যাহার পরিতৃপ্তিতেও লেশমাত্র স্থখ নাই, তাহা আমাদিগকে পশ্চাতে উধ্বশ্বাসে ঘোড়দৌড় করাইয়া বেড়ায় বলিয়াই তাহাকে চরম কামনার ধন মনে করি ।” মহেন্দ্ৰ কহিল, "আজই বাড়ি ফিরিয়া যাইব – বিনোদিনী যেখানেই থাকিতে চাহে, সেইখানেই তাহাকে রাখিবার ব্যবস্থা করিয়া দিয়া আমি মুক্ত হইব।” “আমি মুক্ত হইব” এই কথা দৃঢ়স্বরে উচ্চারণ করিতেই তাহার মনে একটি আনন্দের আবির্ভাব হইল— এতদিন যে অবিশ্রাম দ্বিধার ভার সে বহন করিয়া আসিতেছিল, তাহা হালক। হইয়া আসিল । এতদিন, এই মুহূর্তে যাহা তাহার পরম অপ্রীতিকর ঠেকিতেছিল, পরমুহুর্তেই তাহ পালন করিতে বাধ্য হইতেছিল— জোর করিয়া “না” কি "হা" সে বলিতে পারিতেছিল না— তাহার অন্তঃকরণের মধ্যে যে-আদেশ উখিত হইতেছিল, বরারর জোর করিয়া তাহার মুখচাপা দিয়া সে অন্যপথে চলিতেছিল— এখন সে যেমনি সবেগে বলিল, “আমি মুক্তিলাভ করিব”, অমনি তাহার দোলা-পীড়িত হৃদয় আশ্রয় পাইয়া তাহাকে অভিনন্দন করিল। মহেন্দ্র তখনই শয্যাত্যাগ করিয়া উঠিয়া মুখ ধুইয়া বিনোদিনীর সহিত দেখা করিতে গেল। গিয়া দেখিল, তাহার দ্বার বন্ধ । দ্বারে আঘাত দিয়া কহিল, “ঘুমাইতেছ কি ৷” বিনোদিনী কছিল, “না। তুমি এখন যাও।” মহেন্দ্ৰ কহিল, “তোমার সঙ্গে বিশেষ কথা আছে— আমি বেশিক্ষণ থাকিব না ।” বিনোদিনী কহিল, "কথা আর আমি শুনিতে পারি না— তুমি যাও, আমাকে আর বিরক্ত করিয়ো না, আমাকে একলা থাকিতে দাও।” অন্য কোনো সময় হইলে এই প্রত্যাখ্যানে মহেন্দ্রের আবেগ আরো বাড়িয়া উঠিত । কিন্তু আজ তাহার অত্যন্ত ঘৃণাবোধ হইল । সে ভাবিল, “এই সীমান্য এক স্ত্রীলোকের কাছে আমি নিজেকে এতই হীন করিয়াছি যে, আমাকে যখন-তখন এমনতরে। অবজ্ঞাভরে দূর করিয়া দিবার অধিকার ইহার জন্মিয়াছে। সে অধিকার ইহার স্বাভাবিক অধিকার নহে । আমিই তাহা ইহাকে দিয়া ইহার গর্ব এমন অন্যায়ৰূপে বাড়াইয়া দিয়াছি।” এই লাঞ্ছনার পরে মহেন্দ্র নিজের মধ্যে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব অনুভব করিবার চেষ্টা করিল। সে কহিল “আমি জয়ী হইব— ইহার বন্ধন আমি ছেদন করিয়া দিয়া চলিয়া যাইব ।” श्रांझांद्रां८ख भरश्ठा छैांक ॐाईब्रा श्रांनिदार्श्वे अश्रु दjांtझ छलिब्रां प्*ॉल । छैॉक