& 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী তাহা আমি জানি— সে-সময়ে তুই গোপন কটাক্ষেও মহেঞ্জের ভাব কিংবা বিনোদিনীর ভাৰ দেখিবার চেষ্টামাত্রও করিসনে । বুক ফাটিয়া গেলেও তোকে অবিচলিত থাকিতে হইবে । মহেন্দ্র ইহা জানিবে যে, তুই সন্দেহ করিস না, শোক করিস না, তোর মনে ভয় নাই, চিস্তা নাই— জোড় ভাঙিবার পূর্বে যেমন ছিল, জোড় লাগিয়া আবার ঠিক তেমনই হইয়াছে – ভাঙনের দাগটুকুও মিলাইয়া গেছে । মহেন্দ্র কি জার-কেহ তোর মুখ দেখিয়া নিজেকে অপরাধী বলিয়া মনে করিবে না। চুনি, ইহা আমার আকুরোধ বা উপদেশ নহে, ইহা তোর মাসিমার আদেশ । আমি যখন কাশী চলিয়া যাইব, আমার এই কথাটি একদিনের জন্যও ভুলিসনে ৷” আশা চায়ের পেয়ালা প্রভৃতি লইয়া বিনোদিনীর কাছে উপস্থিত হইল কহিল, "জল কি গরম হইয়াছে ? আমি চায়ের দুধ আনিয়াছি।” বিনোদিনী আশ্চর্য হইয়া আশার মুখের দিকে চাহিল । কহিল, “বিহারী-ঠাকুরপো বারান্দায় বসিয়া আছেন, চা তুমি তাহার কাছে পাঠাইয়া দাও, আমি ততক্ষণ পিসিমার জন্য মুখ ধুইবার বন্দোবস্ত করিয়া রাখি । তিনি বোধ হয় এখনই উঠিবেন।” বিনোদিনী চা লইয়া বিহারীর কাছে গেল না । বিহারী ভালোবাসা স্বীকার করিয়া তাহাকে যে-অধিকার দিয়াছে, সেই অধিকার স্বেচ্ছামতে খাটাইতে তাহার ংকোচ বোধ হইতে লাগিল । অধিকারলাভের যে মর্যাদা আছে, সেই মর্যাদা রক্ষা করিতে হইলে অধিকার প্রয়োগকে সংযত করিতে হয় । যতটা পাওয়া যায় ততটা লইয়া টানাটানি করা কাঙালকেই শোভা পায়— ভোগকে খর্ব করিলেই সম্পদের যথার্থ গৌরব । এখন, বিহারী তাহাকে নিজে না ডাকিলে, কোনো-একটা উপলক্ষ্য করিয়া বিনোদিনী তাহার কাছে আর যাইতে পারে না । বলিতে-বলিতেই মহেন্দ্র আসিয়া উপস্থিত হইল। আশার বুকের ভিতরটা যদিও ধড়াস করিয়া উঠিল, তবু সে আপনাকে সংবরণ করিয়া লইয়া স্বাভাবিক স্বরে মহেন্দ্রকে কহিল, “তুমি এত ভোরে উঠিলে যে ? পাছে আলো লাগিয়া তোমার ঘুম ভাঙে, তাই আমি জানলা-দরজা সব বদ্ধ করিয়া আসিয়াছি।” বিনোদিনীর সম্মুখেই আশাকে এইরূপ সহজভাবে কথা কহিতে শুনিয়া মহেন্দ্রের বুকের একটা পাথর যেন নামিয়া গেল । সে আনন্দিতচিত্তে কহিল, “মা কেমন আছেন, তাই দেখিতে আসিয়াছি— মা কি এখনো ঘুমাইতেছেন।” o আশা কহিল, “ই, তিনি ঘুমাইতেছেন, এখন তুমি যাইয়ে না। বিহারী-ঠাকুরপো বলিয়াছেন, তিনি আজ অনেকটা ভালো আছেন । অনেক দিন পরে কাল তিনি সমস্ত ब्रांड डीएल कब्रिग्रा भूभाहेब्राह्छ्न ” $
