পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 28 ब्रदौटल-ब्रछमांबलौ * কিন্তু আমাদের যে কী ব্যবস্থা, কী উদ্দেশ্য এবং কী উপায়, তাহা আমরা স্পষ্ট করিয়া ভাবিয়া দেখি না। যুদ্ধে যেমন জয়লাভটাই মুখ্য লক্ষ্য, পলিটিক্সে সেইরূপ উদ্দেশুসিদ্ধিটাই যে প্রধান লক্ষ্য, তাহা যদি বা আমরা মুখে বলি, তবু মনের মধ্যে সে-কথাটাকে আমল দিই না । মনে করি, আমাদের পোলিটিক্যাল কর্তব্যক্ষেত্ৰ যেন স্কুল-বালকের ডিবেটিং ক্লাব— গবর্মেন্ট যেন আমাদের সহপাঠি প্রতিযোগী ছাত্র, ৰেন জবাব দিতে পারিলেই আমাদের জিত হইল । শাস্ত্রমতে চিকিৎসা অতি স্বন্দর হইয়াও যেরূপ রোগী মরে, আমাদের এখানেও বক্তৃতা অতি চমৎকার হইয়াও কার্ব नष्ट श्ञ, हेशव्र नृहेख यज्राइ cनथिएउश् ि। . কিন্তু আমি আজ আমার দেশের লোকের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইতেছি—আমার যা-কিছু বক্তব্য, সে র্তাহাদেরই প্রতি । র্তাহাদের কাছে মনের কথা বলিবার এই একটা উপলক্ষ্য ঘটিয়াছে বলিয়াই আজ এখানে আসিয়াছি। নহিলে, এই-সমস্ত বাদবিবাদের উন্মাদন, এই সকল ক্ষণস্থায়ী উত্তেজনার ঘূর্ণিমৃত্যের মধ্যে পাক খাইয়া ফিরিতে আমার এক দিনের জন্যও উৎসাহ হয় না । জীবনের প্রদীপটিতে যদি আলোক জালাইতে হয়, তবে সে কি এমন এলোমেলো হাওয়ার মুখে চলে । আমাদের দেশে এখন নিভৃতে চিন্তা ও নিঃশব্দে কাজ করিবার দিন– ক্ষণে ক্ষণে বারংবার নিজের শক্তির অপব্যয় এবং চিত্তের বিক্ষেপ ঘটাইবার এখন সময় নহে । যে অবিচলিত অবকাশ এবং অক্ষুব্ধ শাস্তির মধ্যে বীজ ধীরে ধীরে অঙ্কুরে ও অঙ্কুর দিনে দিনে বৃক্ষে পরিণত হয়, তাহা সম্প্রতি আমাদের দেশে দুর্লভ হইয়া উঠিতেছে । ছোটো ছোটো আঘাত নানাদিক হইতে আসিয়া পড়ে— হাতে হাতে প্রতিশোধ বা উপস্থিত-প্রতিকারের জন্য দেশের মধ্যে ব্যস্ততা জন্মে, সেই চতুর্দিকে ব্যস্ততার চাঞ্চল্য হইতে নিজেকে রক্ষণ করা কঠিন। রোগের সময় যখন হঠাৎ এখানে বেদন ওখানে দাহ উপস্থিত হইতে থাকে, তখন তখনই-তখনই সেটা নিবারণের জন্য রোগী অস্থির না হইয়া থাকিতে পারে না। যদিও জানে অস্থিরতা বৃথা, জানে এই সমস্ত স্থানিক ও সাময়িক জালাঘন্ত্রণার মূলে যে ব্যাধি আছে তাহার ঔষধ চাই এবং তাহার উপশম হইতে সময়ের প্রয়োজন, তবু চঞ্চল হইয়া উঠে । আমরাও তেমনি প্রত্যেক তাড়নার জন্য স্বতন্ত্রভাবে অস্থির হইয়া মূলগত প্রতিকারের প্রতি অমনোযোগী হই । সেই অস্থিরতায় আজ আমাকে এখানে আকর্ষণ করে নাই— কতৃপক্ষের বর্তমান প্রস্তাবকে অযৌক্তিক প্রতিপন্ন করিয়া আমাদের যে ক্ষণিক বৃথা তৃপ্তি, তাহাই ভোগ করিবার জন্ত আমি এখানে উপস্থিত হই নাই ; আমি দুটোএকটা গোড়ার কথা স্বদেশী লোকের কাছে উখাপন করিবার স্থধোগ পাইয়া