পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रवैौटा-ब्रछनांबलौ علم& d ব্যাপারখানা এই, এবং ইহা স্বাভাবিক। এবং ইহাও স্বাভাবিক যে, যে-পদার্থ এত ক্ষুদ্র তাহার মমস্তিক বেদনাকেও, তাহার সাংঘাতিক ক্ষতিকেও স্বতন্ত্ৰ করিয়া বিশেষ কবিয়া দেখিবার শক্তি উপরওয়ালার যথেষ্ট পরিমাণে থাকিতে পারে না। যাহা আমাদের পক্ষে প্রচুর তাহাও তাহাদের কাছে তুচ্ছ বলিয়াই মনে হয়। আমার ভাষাটি লইয়া, জামার সাহিত্যটি লইয়া, আমার বাংলাদেশের ক্ষুত্র ভাগবিভাগ লইয়া, আমার একটুখানি মিউনিসিপালিটি লইয়া, আমার এই সামান্ত য়ুনিভার্সিটি লষ্টয়া আমরা ভয়ে ভাবনায় অস্থির হইয়া দেশময় চীৎকার করিয়া বেড়াইতেছি,— আশ্চর্য হইতেছি, এত কলরবেও মনের মতো ফল পাইতেছি না কেন । জুলিয়া যাই, ইংরেজ আমাদের উপরে আছে, আমাদের মধ্যে নাই । তাহারা যেখানে আছে সেখানে যদি যাইতে পারিতাম, তাহা হইলে দেখিতে পাইতাম, আমরা কতই দূরে পড়িয়াছি, আমাদিগকে কতই ক্ষুত্র দেখাইতেছে। আমাদিগকে এত ছোটো দেখাইতেছে বলিয়াই সেদিন কর্জন সাহেব আমন অত্যন্ত সহজ কথার মতো বলিয়াছিলেন, তোমরা আপনাদিগকে ইস্পীরিয়ালতন্ত্রের মধ্যে বিসর্জন দিয়া গৌরববোধ করিতে পার না কেন । সর্বনাশ, আমাদের প্রতি এ কিরূপ ব্যবহার ! এ যে একেবারে প্রণয়-সম্ভাষণের মতো শুনাইতেছে ! এই অস্টে লিয়া বল, ক্যানেড বল, যাহাদিগকে ইংরেজ ইস্পীরিয়াল-আলিঙ্গনের মধ্যে বন্ধ করিতে চায়, তাহাজের শয়নগৃহের বাতায়নতলে দাড়াইয়া অপৰ্যাপ্ত প্রেমের সংগীতে সে জাকাশ মুখরিত করিয়া তুলিয়াছে, ক্ষুধাতৃষ্ণা ভুলিয়া নিজের রুটি পর্যন্ত দুমূল্য করিতে রাজি হইয়াছে— তাহাদের সহিত আমাদের তুলনা ! এতবড়ো অত্যুক্তিতে যদি কতৰ্গর লজ্জা না হয়, আমরা যে লজ্জা বোধ করি । আমরা অস্টেলিয়ায় তাড়িত, নাটালে লাঞ্ছিত, স্বদেশেও কতৃৰ্ত্ত-অধিকার হইতে কতদিকেই বঞ্চিত, এমন স্থলে ইস্পীরিয়াল বাসরঘরে আমাদিগকে কোন কাজের জন্য নিমন্ত্রণ করা হইতেছে ! কর্জন সাহেব আমাদের স্থখদুঃখের সীমানা হইতে বহু উধেব বসিয়া ভাৰিতেছেন, ইহার এত নিতান্তই ক্ষুত্র, তবে ইহার কেন ইস্পীরিয়ালের মধ্যে একেৰারে বিলুপ্ত হইতে রাজি হয় না, নিজের এতটুকু স্বাতন্ত্রা, এতটুকু ক্ষতিলাভ লইয়া এত ছটফট করে কেন। এ কেমনতরো— যেমন একটা যজ্ঞে যেখানে বন্ধুবান্ধবকে নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে সেখানে যদি একটা ছাগশিশুকে সাদরে আহবান করিবার জন্ত মাল্যসিদূরহস্তে লোক আসে, এবং এই সাদর ব্যবহারে ছাগের একাত্ত সংকোচ দেখিয়া তাহাকে বলা হয়,— এ কী আশ্চর্য, এতবড়ো মহৎ যজ্ঞে যোগ দিতে তোমার আপত্তি ! হায়, অস্তের ধোগ দেওয়া এবং তাহার ৰোগ দেওয়াতে যে কত প্রভেদ, তাঁহা ৰে লে এক