পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী যত বাড়ে বোঝা । আমি বলি, “এ কী কাও, এত ঘট এত পট হাড়ি সরা ভাও বোতল বিছানা বাক্স রাজ্যের বোঝাই কী করিব লয়ে । কিছু এর রেখে যাই কিছু লয়ে যাই সাথে ।” সে-কথায় কর্ণপাত নাহি করে কোনো জন । "কী জানি দৈবাৎ এটা ওটা আবশুক যদি হয় শেষে তখন কোথায় পাবে বিভু ই বিদেশে — সোনামুগ সরু চাল সুপারি ও পান ; ও-হাড়িতে ঢাকা আছে দুই-চারিখান গুড়ের পাটালি ; কিছু ঝুনা নারিকেল ; দুই ভাও ভালো রাই-সরিষার তেল ; আমসত্ত্ব আমচুর ; সের দুই দুধ ; এই-সব শিশি কৌটা ওষুধবিষুধ । মিষ্টান্ন রহিল কিছু হাড়ির ভিতরে, মাথা খাও, ভুলিয়ে না, খেয়ে মনে করে ।” বুঝিতু যুক্তির কথা বৃথা বাক্যব্যয় । বোঝাই হইল উচু পর্বতের ন্যায় । তাকামু ঘড়ির পানে, তার পরে ফিরে চাহিস্থ প্রিয়ার মুখে, কহিলাম ধীরে “তবে আসি” । অমনি ফিরায়ে মুখখানি নতশিরে চক্ষু’পরে বস্ত্রাঞ্চল টানি অমঙ্গল আশ্র জল করিল গোপন । বাহিরে দ্বারের কাছে বসি অন্ত্যমন কস্তা মোর চারি বছরের । এতক্ষণ অন্য দিনে হয়ে যত স্নান সমাপন, দুটি অন্ন মুখে না তুলিতে আঁখিপাত মুদিয়া আসিত ঘুমে ; আজি তার মাতা