পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাৰলী ऎत्रैिरह भर्षद्र चव्र । भांनबझनब्र-निकूऊरल যেন নব মহাদেশ স্বজন হতেছে পলে পলে, আপনি সে নাহি জানে। শুধু অর্ধ-অনুভব তারি ব্যাকুল করেছে তারে, মনে তার দিয়েছে সঞ্চারি আকারপ্রকারহীন তৃপ্তিহীন এক মহা আশা— প্রমাণের অগোচর, প্রত্যক্ষের বাহিরেতে বাসা । তর্ক তারে পরিহাসে, মর্ম তারে সত্য বলি জানে, সহস্র ব্যাঘাতমাঝে তবুও সে সন্দেহ না মানে, জননী যেমন জানে জঠরের গোপন শিশুরে, প্রাণে যবে স্নেহ জাগে, স্তনে যবে দুগ্ধ উঠে পুরে। প্রাণভরা ভাষাহরা দিশাহারা সেই আশা নিয়ে চেয়ে আছি তোমা পানে ; তুমি সিন্ধু, প্রকাও হাসিয়ে টানিয়া নিতেছ যেন মহাবেগে কী নাড়ীর টানে আমার এ মর্মখানি তোমার তরঙ্গমাঝখানে কোলের শিশুর মতো । হে জলধি, বুঝিবে কি তুমি আমার মানব-ভাষা। জান কি তোমার ধরাভূমি পীড়ায় পীড়িত আজি ফিরিতেছে এ-পাশ ও-পাশ, চক্ষে বহে অশ্রুধারা, ঘন ঘন বহে উষ্ণ শ্বাস । নাহি জানে কী ষে চায়, নাহি জানে কিসে ঘুচে তৃষা, আপনার মনোমাঝে আপনি সে হারায়েছে দিশ৷ বিকারের মরীচিকা-জালে । অতল গম্ভীর তব অন্তর হইতে কহ সাত্ত্বনার বাক্য অভিনব আষাঢ়ের জলদমন্দ্রের মতো ; স্নিগ্ধ মাতৃপাণি চিন্তাতপ্ত ভালে তার তালে তালে বারম্বার হানি, সর্বাঙ্গে সহস্রবার দিয়া তারে স্নেহময় চুমা, বলে তারে “শান্তি, শাস্তি", বলে তারে “বুমা, ঘুমা, ঘুমা”। রামপুর বোয়ালিয়া s ১৭ চৈত্র, ১২৯৯