পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী হেরিব অদূরে পদ্মা, উচ্চতটতলে প্রাস্ত রূপসীর মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রসারিয়া তমুখানি, সায়াহ-আলোকে শুয়ে আছে ; অন্ধকার নেমে আসে চোখে চোখের পাতার মতো ; সন্ধ্যাতারা ধীরে সস্তপণে করে পদার্পণ, নদীতীরে অরণ্য-শিয়রে ; যামিনী শয়ন তার দেয় বিছাইয়া, একখানি অন্ধকার অনন্ত ভুবনে । দোহে মোরা রব চাহি অপার তিমিরে ; আর কোথা কিছু নাহি, শুধু মোর করে তব করতলখানি, শুধু অতি কাছাকাছি দুটি জনপ্রাণী অসীম নির্জনে ; বিষন্ন বিচ্ছেদরাশি চরাচরে আর-সব ফেলিয়াছে গ্রাসি — শুধু এক প্রাস্তে তার প্রলয়-মগন বাকি আছে একখানি শঙ্কিত মিলন, দুটি হাত, ত্রস্ত কপোতের মতো দুটি বক্ষ দুরুদুরু, দুই প্রাণে আছে ফুটি শুধু একখানি ভয়, একথানি আশা, একখানি অশ্রুভরে নম্র ভালোবাসা । আজিকে এমনি তবে কাটিবে যামিনী আলস্ত-বিলাসে । অয়ি নিরভিমানিনী, অয়ি মোর জীবনের প্রথম প্রেয়সী, মোর ভাগ্য-গগনের সৌন্দর্ধের শশী, মনে আছে কবে কোন ফুল্লযুখীবনে, বহুবাল্যকালে, দেখা হত দুই জনে আধো-চেনাশোনা ? তুমি এই পৃথিবীর প্রতিবেশিনীর মেয়ে, ধরার অস্থির en والا