পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م لإحسد 19 সোনার তরী এই ক্ষীণ অর্থহীন অস্তিত্বের রেখা, তখন করুণাময়ী দাও তুমি দেখা তারকা-আলোক-জালা স্তন্ধ রজনীর প্রাস্ত হতে নিঃশব্দে আসিয়া ; অশ্রনীর অঞ্চলে মুছায়ে দাও ; চাও মুখপানে স্নেহময় প্রশ্নভর করুণ নয়ানে ; নয়ন চুম্বন কর; স্নিগ্ধ হস্তখানি ললাটে বুলায়ে দাও ; না কহিয়া বাণী, সাত্বনা ভরিয়া প্রাণে, কবিরে তোমার ঘুম পাড়াইয়া দিয়া কখন আবার চলে যাও নিঃশব্দ চরণে । সেই তুমি মূর্তিতে দিবে কি ধরা। এই মর্ত্যভূমি পরশ করিবে রাঙা চরণের তলে ? অস্তরে বাহিরে বিশ্বে শূন্তে জলে স্থলে সর্ব ঠাই হতে সর্বময়ী আপনারে করিয়া হরণ— ধরণীর একধারে ধরিবে কি একখানি মধুর মুরতি । নদী হতে লতা হতে আনি তব গতি অঙ্গে অঙ্গে নানা ভঙ্গে দিবে হিল্লোলিয়া বাস্থতে বাকিয়া পড়ি গ্রীবায় হেলিয়া ভাবের বিকাশভরে ? কী নীল বসন পরিবে সুন্দরী তুমি। কেমন কঙ্কণ ধরিবে দুখানি হাতে । কবরী কেমনে বাধিবে, নিপুণ বেণী বিনায়ে যতনে ? কচি কেশগুলি পড়ি শুভ্র গ্রীবা’পরে শিরীষ কুসুমসম সমীরণভরে ৭৩