পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܓ ܠ যুধিষ্ঠির । গান্ধারী । झदैत्रीकी-झ5न्ादकैलो দ্ৰৌপদীসহ পঞ্চপাণ্ডবের প্রবেশ আশীৰ্বাদ মাগিবারে এসেছি, জননী, বিদায়ের কালে । সৌভাগ্যের দিনমণি। দুঃখরাত্রি-অবসানে দ্বিগুণ উজ্জ্বল উদিবে হে বৎসগণ ! বায়ু হতে বল, সূর্য হতে তেজ, পৃথী হতে ধৈৰ্যক্ষমা করো লাভ দুঃখত্ৰত পুত্র মোর ! রমা। দৈন্য-মাঝে গুপ্ত থাকি দীন-ছদ্ম-রূপে ফিরুন পশ্চাতে তব সদা চুপে চুপে, দুঃখ হতে তোমা-তরে করুন সঞ্চয় অক্ষয় সম্পদ । নিত্য হউক নিৰ্ভয় নির্বাসনবাস । বিনা পাপে দুঃখভোগ অস্তরে জ্বলন্ত তেজ করুক সংযোগ বহ্নিশিখাদগ্ধদীপ্ত সুবর্ণের প্রায় । সেই মহাদুঃখ হবে মহৎ সহায় তোমাদের । সেই দুঃখে রহিবেন ঋণী। ধর্মরাজ বিধি, যাবে শুধিবেন। তিনি নিজহস্তে আত্মঋণ তখন জগতে দেব নির কে দাড়াবে তোমাদের পথে ! মোর পুত্ৰ করিয়াছে যত অপরাধ খণ্ডন করুক সব মোর আশীৰ্ব্বাদ পুত্ৰাধিক পুত্ৰগণ ! অন্যায় পীড়ন গভীর কল্যাণসিন্ধু করুক মন্থন । (দ্ৰৌপদীকে আলিঙ্গনপূর্বক) ভুলুষ্ঠিতা স্বৰ্ণলতা, হে বৎসে আমার, হে আমার রাহুগ্ৰস্ত শশী, একবার তোলো শির, বাক্য মোর করো অবধান । যে তোমারে অবমানে তারি অপমান জগতে রহিবে নিত্য, কলঙ্ক অক্ষয় । তব অপমানরাশি বিশ্বজগন্ময় ভাগ করে লইয়াছে সৰ্ব্ব কুলাঙ্গনাকাপুরুষতার হস্তে সতীর লাঞ্ছনা । যাও বৎসে, পতি-সাথে আমলিনমুখ অরণ্যেরে করো স্বৰ্গ, দুঃখে করো সুখ । বধু মোর, সুন্দুঃসহ পতিদুঃখব্যথা বক্ষে ধরি সতীত্বের লভো সার্থকতা । রাজগৃহে আয়োজন দিবসব্যামিনী সহস্ৰ সুখের- বনে তুমি একাকিনী