পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N 88 ক্ষীরো । ঠাকুরানী । ক্ষীরো । ঠাকুরানী । ক্ষীরো । ক্ষীরো । কল্যাণী । রবীন্দ্র-রচনাবলী মোর ঘরে বুঝি, শোধ নেবে তার ? দয়া করে যদি কিছু করো দান এ যাত্রা। তবে বেঁচে যায় প্ৰাণ । তোমার যা-কিছু নিয়েছে অন্যে দয়া চাও তুমি তাহার জন্যে ! আমার যা তুমি নিয়ে যাবে ঘরে তার তরে দয়া আমায় কে করে । ধনসুখ আছে যার ভাণ্ডারে দানসুখে তার সুখ আরো বাড়ে । গ্রহণ যে করে তারি হেঁট মুখ, ঃখের পরে ভিক্ষার দুখ । তুমি সক্ষম, আমি নিরুপায়, অনায়াসে পারো ঠেলিবারে পায় । ইচ্ছা না হয় না’ই কোরো দান, অপমানিতেরে কেন অপমান ! চলিলাম। তবে, বলে দয়া ক’রে বাসনা পুরিবে গেলে কার ঘরে । রানী কল্যাণী নাম শোন নাই ? দাতা ব’লে তার বড়ো যে বড়াই । এইবার তুমি যাও তারি। ঘরে ভিক্ষার বুলি নিয়ে এসে ভরে, পথ না জানি তো মোর লোকজন পৌছিয়ে দেবে রানীর ভবন । তবে তথাস্তু । যাই তারি কাছে । তার ঘর মোর খুব জানা আছে । আমি সে লক্ষ্মী, তোর ঘরে এসে অপমান পেয়ে ফিরিলাম শেষে । এই কথা ক’টি করিয়ো স্মরণধনে মানুষের বাড়ে নাকো মন । আছে বহু ধনী, আছে বহু মানীসবাই হয় না। রানী কল্যাণী । যাবে। যদি তবে ছেড়ে যাও মোরে দস্তুরমত কুর্নিশ করে । মালতী ! মালতী ! কোথায় তারিণী ! কোথা গেল মোর চামরধারিণী ! আমার এক-শে পঁচিশটো দাসী ? তোরা কোথা গেলি বিনি। কিনি কাশী ! কল্যাণীর প্রবেশ পাগল হলি কি ৷ হয়েছে কী তোর । এখনো যে রাত হয় নিকো ভোর