পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳ Հ রবীন্দ্র-রচনাবলী বৈদ্যনাথ। তবে গার্ডকে ডাকুন। দুঃখীরাম। গার্ড আপনার কী করতে পারবে ? : দীর্ঘনিশ্বাস বৈদ্যনাথ। তবে হরিকে ডাকুন। আমার হয়ে এল। মূৰ্ছা! দুঃখীরামের উপযুপরি সুদীর্ঘ নিশ্বাসপতন ও গান— ‘মনে করো শেষের সে দিন ভয়ংকর পৌষ ১২৯২ খ্যাতির বিড়ম্বনা প্রথম দৃশ্য ভয়ে ভয়ে খাতা-হস্তে কাঙালিচরণের প্রবেশ দুকড়ি। কী চাই ? কাঙালি | আজ্ঞে, মশায় হচ্ছেন দেশহিতৈষী দুকড়ি। তা তো সকলেই জানে, কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী ? কাঙালি । আপনি সাধারণের হিতের জন্য প্ৰাণপণ— দুকড়ি। ক'রে ওকালতি ব্যাবসা চালাচ্ছি তাও কারও অবিদিত নেই।— কিন্তু তোমার বক্তব্যটা की ? কাঙালি | আজ্ঞে, বক্তব্য বেশি নেই। দুকড়ি। তবে শীঘ্র শীঘ্র সেরে ফেলো-না ! কাঙালি । একটু বিবেচনা করে দেখলে আপনাকে স্বীকার করতেই হবে যে “গানাৎ পরাতরং sikhsga দুকড়ি। বাপু, বিবেচনা এবং স্বীকার করবার পূর্বে যে কথাটা বললে তার অর্থ জানা বিশেষ আবশ্যক । ওটা বাংলা করে বলে । কাঙালি ; আজ্ঞে বাংলাটা ঠিক জানি নে । তবে মর্ম হচ্ছে এই গান জিনিসটা শুনতে বড়ো ভালো लोकों | দুকড়ি । সকলের ভালো লাগে না । কাঙালি । গান যার ভালো না লাগে। সে হচ্ছে— দুকড়ি। উকিল শ্ৰীযুক্ত দুকড়ি দত্ত । কাঙালি । আজ্ঞে, অমন কথা বলবেন না । দুকড়ি। তবে কি মিথ্যে কথা বলব ? কাঙালি | আর্যাবর্তে ভরত মুনি হচ্ছেন গানের প্রথম— দুকড়ি। ভরত মুনির নামে যদি কোনাে মকদ্দমা থাকে তো বলো, নইলে বক্তৃতা বন্ধ করে । কাঙালি । অনেক কথা বলবার ছিল— দুকড়ি। কিন্তু অনেক কথা শোনবার সময় নেই।