হাস্যকীেতুক Sbrዓ এই অত্যন্ত কঠিন প্রশ্নের উত্তর আপনি কবে দিতে পারবেন। একটা দিন স্থির করে দিন— আমি যে নিতান্ত ব্যস্ত হয়েছি তা নয়— নাহয় উত্তর পেতে কিছুদিন দেরিই হবে, নাহয় উত্তর নেই পাওয়া গেল। কিন্তু আজ আমার অপরাধ ক্ষমা করুন, ভবিষ্যতে আমি সতর্ক হব । বৈশাখ ১২৯৩ আশ্রমপীড়া প্রথম দৃশ্য নবকান্ত নবকান্ত । ওঃ ! প্রেমের রহস্য কে ভেদ করতে পারে !! না জানি সে কিসের বন্ধন যাতে এক হৃদয়ের সঙ্গে আর-এক হৃদয় বাধা পড়ে । কী জ্যোৎস্নাপািশ, কী পুস্পসীেরভের ডোর, কী মুকুলিত মধুমাসের মধুর মলয়ানিলের বন্ধন ! নরোত্তমের প্রবেশ নরোত্তম। কী সর্বনাশ ! নবকাস্তের হাতে পড়লে তো রক্ষা নেই!! ধরলে বুঝি ! নবকান্ত । (নরোত্তমকে ধরিয়া) ভাই, প্রেমের কী মহান শক্তি ! নরোত্তম । খিদের শক্তি তার চেয়ে বেশি । আমি খেতে যাই, আমাকে ছাড়োনবকান্ত । হৃদয়ের ক্ষুধানরোত্তম । হৃদয়ের নয়, উদরের । আমি খেয়ে আসিনবকান্ত । খাওয়ার কথা বলছি নে । নরোত্তম । তুমি কেন বলবে, আমি বলছি। একটু রোসো, আমি— ঐ যে আদ্যানাথবাবু আসছেন । ওঁকে ধরো, প্রেমের শক্তি বোঝবার লোক এমন আর পাবে না । [প্ৰস্থান আদ্যানাথের প্রবেশ নবকান্ত । (আদ্যানাথকে ধরিয়া) মশায়, প্রেমের কী মহান শক্তি ! আদ্যনাথ । মহান শক্তি কী বাপু ! মহতী শক্তি । কারণ, শক্তি শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ, তৎপূর্বেকান্ত। ভেবে দেখুন, প্রোেমর সৈন্য নেই, সামন্ত নেই, অক্ষ প্রেম বিশ্ববিজয়ী। সে আপন আদ্যানাথ । জীবন্ত হতেই পারে না । নবকান্ত । আজ্ঞে হঁহা, সে আপনার জীবন্ত প্রভাবেই— আদ্যানাথ ! জীবিত বলো-না কেন, তা হলে ব্যাকরণ নবকান্ত । জীবন্ত প্রভাবে সর্বত্র আপনার পথ সৃজন— আদ্যনাথ ।। সৃজন নয়। সর্জন । নবকান্ত। পথ সৃজন করে নেয়। এই-যে সূৰ্যতারাখচিত— আদ্যানাথ । সর্জন, কেননা সৃজ ধা— নবকান্ত । নীলাকাশ, এই-যে বিচিত্ৰপুষ্পশোভিত— আদ্যানাথ ।। সৃজ ধাতুর উত্তর নবকান্ত । পুস্পকানন [কথোপকথন করিতে করিতে প্ৰস্থান
