পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাস্যকৌতুক SoGt রসিক তিনকড়ি নেপাল ভোলা এবং নীলমণি হাসিয়া কুটিকুটি ধীরাজের প্রবেশ ধীরাজ | এত হাসছ কেন । খেপিলে নাকি । তিনকড়ি। (দূরে নির্দেশ করিয়া) দেখছেন না রসিকরাজবাবু আসছেন ? ধীরাজ। তা তো দেখছি, কিন্তু হাস্যকর কিছু তো দেখা যাচ্ছে না । নেপাল । উনি ভারি মজার লোক । ভোলা । ভা—আ-রি মজার লোক । নীলমণি | ব-ডড মজার লোক । তিনকড়ি । ওঁর একটা গল্প বলি শুনুন । সেদিন আমরা ঐকজনে মিলে হাসতে হাসতে রসিকবাবুর ঙ্গে আসছি— চোরবাগানের মোড়ের কাছে— হা হা হা ! নীলমণি । হাে হাে হাে ! (ऊाळला । शै शे। शै ! তিনকড়ি । বুঝেছেন, চোরবাগানের— হা হা ! নেপাল | রোসো ভাই, কাপড় সামলে নিই। হাসতে হাসতে বিলকুল আলগা হয়ে এসেছে। তিনকড়ি । বুঝেছেন ধীরাজবাবু, আমাদের এই মোড়টার কাছে, সে কী আর বলব! ভারি মজা ! ধীরাজ । আচ্ছ, পরে বোলো— আমি তবে চললুম। ভোলা । না না, শুনে যান । সে ভারি মজা | বলো-না ভাই, গল্পটা শেষ করো-না ! তিনকড়ি । বুঝেছেন ধীরাজবাবু, মোড়ের কাছে এক বেটা গোরুর গাড়ির গাড়োয়ান— হা হা হা(ভােলার প্রতি) কী নিয়ে যাচ্ছিল হে ? ভোলা। পাথুরে কয়লা । তিনকড়ি । হা, পাথুরে কয়লাই বটে। রসিকবাবু তাকে দেখে— হা হা হা হা ! (সকলের হাস্য) রসিকবাবু তাকে দেখে— (নেপালের প্রতি) কী হে কী বললেন ? নেপাল । হা হা হা ! সে ভারি মজার কথা । (ভোলার প্রতি) কিন্তু কথাটা কী বলো তো হে! ভোলা । মনে পড়ছে না, কিন্তু সে ভারি মজা । বুঝেছেন ধীরাজবাবু, সে ভারি মজা। নীলমণি । একটু একটু মনে পড়ছে, এই পাথুরে কয়লা নিয়ে কী যেন একটা— নেপাল । আহা, বল কী হে! পাথুরে কয়লা নিয়ে আবার কী বলবেন ? নিশ্চয় দেশের ভগ্নীদের লক্ষ্য করে কিছু বলেছিলেন, তা ছাড়া তিনি আর তো কিছু বলেন না । ভোলা । কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, গোরুর লেজ মলা নিয়ে যেন কী একটা বলেছিলেন । তিনকড়ি । তা হতে পারে। কিন্তু ভারি মজা | রসিক। কী হে, এখানে যে এত হস ধাতুর আমদানি ? নীলমণি । হস ধাতুই বটে। হা হা হা! তিনকড়ি। (ধীরাজের প্রতি) একবার কথাটা শুনুন । হস ধাতু— হা হা হা ! ভোলা। ধীরাজবাবু শুনছেন। কী চমৎকার! হস ধাতু— আবার আমদানি । লমণি ॥ ধীরাজবাবু