পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRV JR রবীন্দ্র-রচনাবলী কমলা ক্যাশবাক্স তুলিয়া ধরিয়া কহিল, “এই তোমার বাক্স।” রমেশ কহিল, “ও আমি লইয়া কী করিব ?” কমলা কহিল, “তোমার যেমন দরকার সেই বুঝিয়া আমাকে জিনিসপত্র আনাইয়া দাও।” রমেশ | তোমার বুঝি কিছুই দরকার নাই ? কমলা ঘাড় ঈষৎ বাকাইয়া কহিল, “টাকায় আমার কিসের দরকার ?” রমেশ হাসিয়া কহিল, “এতবড়ো কথাটা কয়জন লোক বলিতে পারে ! যা হােক, যেটা তোমার এত অনাদরের জিনিস সেইটেই কি পরকে দিতে হয় ? আমি ও লইব কেন ?” কমলা কোনো উত্তর না করিয়া মেজের উপর ক্যাশবাক্স রাখিয়া দিল । রমেশ কহিল, “আচ্ছা কমলা, সত্য করিয়া বলো, আমি আমার গল্প শেষ করি নাই বলিয়া তুমি আমার উপর রাগ করিয়াছ ?” কমলা মুখ নিচু করিয়া কহিল, “রাগ কে করিয়াছে ?” রমেশ । রাগ যে না করিয়াছে সে ঐ ক্যাশবাক্সটি রাখুক ; তাহা হইলেই বুঝিব, তাহার কথা সত্য । কমলা। রাগ না করিলেই বুঝি ক্যাশব্যাক্স রাখিতে হইবে ? তোমার জিনিস তুমি রাখে-না কেন ? রমেশ । আমার জিনিস তো নয় ; দিয়া কড়িয়া লইলে যে মরিয়া ব্ৰহ্মদৈত্য হইতে হইবে । আমার বুঝি সে ভয় নাই ? রমেশের ব্ৰহ্মদৈত্য হইবার আশঙ্কায় কমলার হঠাৎ হাসি পাইয়া গেল। সে হাসিতে হাসিতে কহিল, “ককখনাে না। দিয়া কড়িয়া লইলে বুঝি ব্ৰহ্মদৈত্য হইতে হয় ? আমি তো কখনাে শুনি নাই।” এই অকস্মাৎ হাসি হইতে সন্ধির সূত্রপাত হইল। রমেশ কহিল, “অন্যের কাছে কেমন করিয়া গুয়ািদ কথনে কােনাে প্ৰথমতাে দেখা পাণ্ড তাহাক জিজ্ঞাস করলেই সন্তৰিবা জানেিত " কমলা হঠাৎ কুতুহলী হইয়া উঠিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছা, ঠাট্ট নয়, তুমি কখনাে সত্যকার ব্ৰহ্মদৈত্য দেখিয়াছ ?” : রমেশ কহিল, “সত্যকার নয় এমন অনেক ব্ৰহ্মদৈত্য দেখিয়াছি। ঠিক খাটি জিনিসটি সংসারে " ། কেন, উমেশ যে বলেরমেশ । উমেশ ? উমেশ ব্যক্তিটি কে ? কমলা । আঃ, ঐ-যে ছেলেটি আমাদের সঙ্গে যাইতেছে, ও নিজে ব্ৰহ্মদৈত্য দেখিয়াছে। রমেশ । এ-সমস্ত বিষয়ে আমি উমেশের সমকক্ষ নহি, এ কথা আমাকে স্বীকার করিতেই হইবে । ইতিমধ্যে বহুচেষ্টায় খালাসির দল জাহাজ ভাসাইয়া ছাড়িয়া দিয়াছে। অল্প দূর গেছে, এমন সময়ে মাথায় একটা চাঙারি লইয়া একটা লোক তীর দিয়া ছুটিতে ছুটিতে হাত তুলিয়া জাহাজ থামাইবার জন্য অনুনয় করিতে লাগিল। সারেং তাহার ব্যাকুলতায় দৃকপাত করিল না। তখন সে লোকটা রমেশের প্রতি লক্ষ করিয়া ‘বাবু বাবু করিয়া চীৎকার আরম্ভ করিয়া দিল। রমেশ কহিল, “আমাকে লোকটা স্টীমারের টিকিটবাবু বলিয়া মনে করিয়াছে।” রমেশ তাহাকে দুই হাত ঘুরাইয়া জানাইয়া দিল, স্টীমার থামাইবার ক্ষমতা তাহার নাই । হঠাৎ কমলা বলিয়া উঠিল, “ঐ তো উমেশ ! না না, ওকে ফেলিয়া যাইয়ো না- ওকে তুলিয়া む"3" রমেশ কহিল, “আমার কথায় স্টীমার থামাইবে কেন-” কমলা কাতর হইয়া কহিল, “না, তুমি থামাইতে বলো— বলো-না তুমি— ডাঙা তো বেশি দূর 3. " বুড়ি সারকে গিয়া সীমার খামহঁতে অনুরোধ কৰিল সারেং কলে,”বাৰু কােম্পািনর नाई ।”