পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কণিকা যথার্থ আপন কুম্মাণ্ডের মনে মনে বড়ো অভিমান বঁাশের মাচাটি তার পুষ্পক বিমান । ভুলেও মাটির পানে তাকায় না। তাই, ് চন্দ্ৰসূৰ্যতারকারে করে ভাই ভাই । নভশ্চর বলে তার মনের বিশ্বাস, শূন্যপানে চেয়ে তাই ছাড়ে সে নিশ্বাস । ভাবে শুধু মোটা এই বোটাখানা মোরে বেঁধেছে ধরার সাথে কুটুম্বিতা-ডোরে । বেঁটা যদি কাটা পড়ে তখনি পলকে উড়ে যােব আপনার জ্যোতির্ময় লোকে । বেঁটা যবে কাটা গেল, বুঝিল সে খাটি, সূর্য তার কেহ নয়, সবই তার মাটি । শক্তির সীমা কহিল কাসার ঘটি খন খন স্বর— কৃপ, তুমি কেন খুড়া হলে না। সাগর ? তাহা হলে অসংকোচে মারিতাম ডুবি, জল খেয়ে লইতাম পেট ভরে খুব । কৃপ কহে, সত্য বটে ক্ষুদ্র আমি কৃপ, সেই দুঃখে চিরদিন করে আছি চুপ । কিন্তু বাপু, তার লাগি তুমি কেন ভাব ! যতবার ইচ্ছা যায়, ততবার নাবোতুমি যত নিতে পাের সব যদি নাও তবু আমি টিকে রব দিয়ে-থুয়ে তাও । নূতন চাল এক দিন গরজিয়া কহিল মহিষ, ঘোড়ার মতন মোর থাকিবে সহিস । একেবারে ছাড়িয়াছি মহিষি-চলন, দুই বেলা চাই মোর দলন-মলিন ।