পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য ዓ6(፩ bालकgाई (शष्ठ (शत्रु १ली शल को? । হেথা হােথা জল পাব চিৎপুরের মােঠ ৷ চিৎপুরের মাঠেতে বালি ঠিক চিক করে। সোনা-মুখে রোদ নোগে রক্ত ফেটে পড়ে ৷ ইহার মধ্যে কোনো ছবিই আমাদিগকে ধরিয়া রাখে না, আমরাও কোনো ছবিকে ধরিয়া রাখতে পারি না। ক্টোিটনবিশিষ্ট নােটন পায়রাগুলি, বড়ো সাহেবের বিবিগণ, দুই পারে ভাসমান দুই রুই কাংলা, পরপরে স্নাননিরত দুই মেয়ে, দাদার বিবাহ, রামধনুকের বাদ্যসহকারে সীতানাথের খেলা এবং মধ্যাহ্নরৌদ্রে তপ্তবালুচক্কণ মাঠের মধ্যে খরতাপক্লিষ্ট রক্তমুখচ্ছবি— এ সমস্তই স্বপ্নের মতো। ও পারে যে দুইটি মেয়ে নাহিতে বসিয়াছে এবং দুই হাতের চুড়িতে চুড়িতে ঝুনঝুন শব্দ করিয়া চুল বাড়িতেছে তাহারা ছবির হিসাবে প্রত্যক্ষ সত্য, কিন্তু প্রাসঙ্গিকতা হিসাবে অপরূপ স্বপ্ন। এ কথাও পাঠকদের স্মরণে রাখা কর্তব্য যে, স্বপ্ন রচনা করা বড়ো কঠিন। হঠাৎ মনে হইতে পারে যে, যেমন-তেমন করিয়া লিখিলেই ছড়া লেখা যাইতে পারে। কিন্তু সেই যেমন-তেমন ভাবটি পাওয়া সহজ নহে। সংসারের সকল কার্য্যেই আমাদের এমনি অভ্যাস হইয়া গেছে যে, সহজ ভাবের অপেক্ষা সচেষ্ট ভাবটাই আমাদের পক্ষে সহজ হইয়া দাড়াইয়াছে। না ডাকিলেও ব্যস্তবাগীশ চেষ্টা সকল কাজের মধ্যে আপনি আসিয়া হাজির হয় । এবং সে যেখানেই হস্তক্ষেপ করে সেইখানেই ভােব আপন লঘু মেঘাকার ত্যাগ করিয়া দানা বাধিয়া উঠে, তাহার আর বাতাসে উড়িবার ক্ষমতা থাকে না। কঠিন তাহার পক্ষে একেবারেই অসাধ্য। যাহা সর্বাপেক্ষা সরল তাহা সর্বাপেক্ষা কঠিন, সহজের প্রধান लझोरै ¢शैं | পাঠক বােধ করি ইহাও লক্ষ্য করিয়া দেখিয়া থাকিবেন, আমাদের প্রথমেদধূত ছড়াটির সহিত এই ছড়া কেমন করিয়া মিশিয়া গিয়াছে। যেমন মেঘে মেঘে স্বপ্নে স্বপ্নে মিলাইয়া যায় এই ছড়াগুলিও তেমনি পরস্পর জড়িত মিশ্রিত হইতে থাকে, সেজন্য কোনো কবি চুরির অভিযোগ করে না এবং কোনো সমালোচকও ভাববিপর্যয়ের দোষ দেন না। বাস্তবিকই এই ছড়াগুলি মানসিক মেঘরাজ্যের লীলা, সেখানে সীমা বা আকার বা অধিকার-নির্ণয় নাই। সেখানে পুলিস বা আইন-কানুনের কোনো সম্পর্ক দেখা যায় না। অন্যত্র হইতে প্রাপ্ত নিম্নের ছড়াটির প্রতি মনােযোগ করিয়া দেখুন। ९ १ोल अष्ठि १ोशी, उलेि द(छों याल । গো জন্তির মাথা খেয়ে প্ৰাণ কেমন করে ৷ প্ৰাণ করে হাইঢ়াই, গলা হল কাঠ । কতক্ষণে যাব রে ভাই হরগীেরীর মাঠ ৷ হরগীেরীর মাঠে রে ভাই পাকা পাকা পান। পান। কিনলাম, চুন। কিনলাম, ননদে ভজে খেলাম। একটি পান হারালে দাদাকে বলে দেলাম ॥ प्रानों लाना उात शgि, गाना नाशका ताछि । সুবল সুবল ডাক ছাড়ি, সুবল আছে বাড়ি ৷ আজ সুবলের অধিবাস, কাল সুবলের বিয়ে। সুবলকে নিয়ে যাব আমি দিগনগর দিয়ে ৷ দিগনগরের মেয়েগুলি নাইতে বসেছে। মোটা মোটা চুলগুলি গো পেতে বসেছে। চিকন চিকন চুলগুলি ঝড়তে নেগেছে ৷ হাতে তাদের দেবশাখা মেঘ নেগেছে। গলায় তাদের তক্তিমালা, রক্ত ছুটেছে ৷