লোকসাহিত্য brの○ শাখারি মুখে মুখে হরের স্থাবর সম্পত্তির যেরূপ ফর্দ দিল তাঁহাতে শাখাজোড়া যে বিশেষ সস্তায় মহাদেবীর এমন মনে করা উচিত ছিল না। 德 সস্তায় যাইবে গীেরী আর মহাদেবে কথা হল দড় । সকল সখী বলে দুৰ্গা শঙ্খ চেয়ে পরো ৷ কেউ দিলেন তেল গামছা কেউ জলের বাটি । দেবের উরুতে হস্ত থুয়ে বসলেন পার্বতী ৷ দয়াল শিব বলেন, শঙ্খ আমার কথাটি ধরে— দুর্গার হাতে গিয়ে শঙ্খ বজ্ৰ হয়ে থাকো ৷ শিলে নাহি ভেঙো শঙ্খ, খড়ের্গ নাহি ভাঙো । দুর্গার সহিত করেন বাক্যের তরঙ্গ ৷ এ কথা শুনিয়া মাতা মনে মনে হাসে । শঙ্খ পরান জগৎপিতা মনের হরষে ৷ শাখারি ভালো দিলে শঙ্খ মানায়ে । ভাণ্ডার ভেঙে দেইগে তঙ্ক, লাওগে গনিয়ে ৷ এতক্ষণে শাখারি সময় বুঝিয়া কহিল— আমি যদি তোমার শঙ্খের লব তাঙ্ক । জ্ঞেয়াত-মােঝারে মোর রহিবে কলঙ্ক ৷ ইহারা যে বংশের শাখারি তাঁহাদের কুলাচার স্বতন্ত্র ; তীহাদের বিষয়বুদ্ধি কিছুমাত্র নাই; টাকাকাড সম্বন্ধে বড়ো নিম্পূহ ; ইহারা র্যাহাকে শাখা পরান তাহাকে পাইলেই মূল্যের আর কোনােপ্রকার দাবি রাখেন না | ব্যবসায়টি অতি উত্তম | কেমন কথা কও শাখারি কেমন কথা কও । মানুষ বুঝিয়া শাখারি এ-সব কথা কও ৷ শাখারি কহিল— না করো বড়াই দুৰ্গা না করো বড়াই। সকল তত্ত্ব জানি আমি এই বালকের ঠাই ৷ তোমার পতি ভাঙড় শিব তা তো আমি জানি। নিতি নিতি প্রতি ঘরে ভিক্ষা মাগেন তিনি ৷ ভস্মমাখা তায় ভুজঙ্গ মাথে অঙ্গে । নিরবধি ফেরেন তিনি ভূত-পেরেতের সঙ্গে ৷ ইহাকেই বলে শোধ তােলা। নিজের সম্বন্ধে যে-সকল স্পষ্ট ভাষা মহাদেব সহধর্মিণীর মুখ হইতে মধ্যে মধ্যে শুনিয়া আসিয়াছেন, আদ্য সুযোগমত। সেই সত্য কথাগুলিই গীেরীর কানে তুলিলেন। এই কথা শুনিয়া মায়ের রোদন বিপরীত | | বাহির করতে চান শঙ্খ না হয় বাহির । পাষাণ আনিল চণ্ডী শঙ্খ না ভাঙিল। শঙ্খেতে ঠেকিয়া পাষাণ খণ্ড খণ্ড হল ৷ কোনােরূপে শঙ্খ যখন না হয় কর্তন। খড়গ দিয়ে হাত কাটিতে দেবীর গেল মন ৷ হস্ত কাটিলে শঙ্খ ভরিবে রুধিরে। রুধির লাগিলে শঙ্খ নাহি লব ফিরে ৷ (भकों (ों भी, কী কুক্ষণে বঁড়িছিলাম পা ৷
