পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী बांछठ वांछऊ नाशला छल । কে কে যাবি কদমফুলি ৷ ওন গোন টিয়ে টােন। লাল বাগানের লাল ঝাটকা ৷ লেগে যা গোয়াল ঘটুকা ৷ হলুদ ফুলে কলুদ ফুল। আয় রে আমার টগরের ফুল ৷ কাকী রাধে কুকী খায়। হিম সময়ে দুঃখ পায় ৷ বনের বাঘে খায় কী । কপলে গায়ের দুধ ৷ কপলে গাই নড়ে চড়ে। পান ছিটুকির বাড়ি মারে ॥, ঐরূপ এই গ্রন্থের ছড়া-সংগ্রহের অন্তর্গত (পৃ ৭৭২) প্রথম ছড়ার একটি পাঠান্তর মাসি পিসি বনগাবাসী, বনের আগে টিয়া । মাসি গেলেন শ্ৰীবৃন্দাবন দেখে আসি গিয়া ৷ কিসের মাসি, কিসের পিসি, কিসের বৃন্দাবন । এতদিনে জানলেম আমি মা বড়ো ধন ৷ মাকে দেব শঙ্খ সিন্দূর, ভাইকে দেব বিয়া । সোনার মুকুট মাথায় দিয়া তীৰ্থ করি গিয়া ৷ ৭৭৪ পৃষ্ঠায় সংকলিত একাদশ ছড়ার পাঠান্তর ঘুঘু-ঘু ! পেটে ফু ৷ কী ছেলে হল । বেটা ছেলে ৷ ছেলে কই । মাছ ধরতে গেছে ৷ মাছ কই । চিলে নিলে ৷ চিল কই । ডালে বসেছে ৷ ডাল কই । পুড়ে ঝুড়ে গেল ৷ ছাইমাটি কই । ধোপায় নিলে ৷ কী করলে । কাপড় ধুলে ৷— সোনাকুড়ে পড়বি না ছাইকুড়ে পড়বি ৷ [দ্রষ্টব্য ; সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, মাঘ ১৩০১ ৭৮২ পৃষ্ঠায় সংকলিত সপ্তচত্বারিংশ পদবন্ধের একটি পাঠান্তর হুগলি-অঞ্চলে এইরূপ শোনা RR কাজল বলে আজল রে ভাই আমি রাঙা মুখের পান । কালো মুখে গেলে পরে আমি হই গো হতমান ৷ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় -কর্তৃক সংকলিত ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ অনুসারে ; আজল="আদরিণী" বা “যে আদরে নেকা সাজে ।