পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>、b" রবীন্দ্র-রচনাবলী পঞ্চক। কেন রে ? প্রথম। তুমি কিছু জান না পঞ্চকদাদ । সেই খোলস কালো রঙের ঘোড়ার লেজের সাতগাছি চুল দিয়ে বেঁধে পুড়িয়ে ধোঁয়া করতে হবে যে । দ্বিতীয়। আজ যে পিতৃপুরুষেরা সেই ধোয়া ভ্ৰাণ করতে আসবেন। পঞ্চক । তাতে তাদের কষ্ট হবে না ? প্রথম । পুণ্য হবে যে, ভয়ানক পুণ্য । [ সুভদ্র ব্যতীত বালকগণের প্রস্থান উপাধ্যায়ের প্রবেশ সুভদ্র । উপাধ্যায়মশায় । পঞ্চক । আরে পালা পালা । উপাধ্যায়মশায়ের কাছ থেকে একটু পরমার্থতত্ত্ব শুনতে হবে এখন বিরক্ত করিস নে, একেবারে দৌড়ে পাল । উপাধ্যায়। কী সুভদ্র, তোমার বক্তব্য কী শীঘ্র বলে যাও । সুভদ্র । আমি ভয়ানক পাপ করেছি। পঞ্চক । ভারি পণ্ডিত কিনা | পাপ করেছি । পালা বলছি । উপাধ্যায় । ( উৎসাহিত হইয়া ) পাপ করেছ? ওকে তাড়া দিচ্ছ কেন ? সুভদ্র শুনে যাও । পঞ্চক । আর রক্ষা নেই, পাপের একটুকু গন্ধ পেলে একেবারে মাছির মতো ছোটে । উপাধ্যায়। কী বলছিলে ? সুভদ্র । আমি পাপ করেছি। উপাধ্যায়। পাপ করেছ ? আচ্ছা বেশ । তাহলে বসো । শোনা যাক । সুভদ্র । আমি আয়তনের উত্তর দিকের— উপাধ্যায়। বলে, বলে, উত্তর দিকের দেয়ালে আঁক কেটেছ ? সুভদ্র । না, আমি উত্তর দিকের জানলায়— উপাধ্যায়। বুঝেছি, কুমুই ঠেকিয়েছ। তাহলে তো সেদিকে আমাদের যতগুলি যজ্ঞের পাত্র আছে সমস্তই ফেলা যাবে। সাত মাসের বাছুরকে দিয়ে ওই জানলা না চাটাতে পারলে শোধন হবে না । পঞ্চক। এটা আপনি ভুল বলছেন। ক্রিয়াসংগ্রহে আছে ভূমিকুষ্মাণ্ডের বোট দিয়ে একবার— উপাধ্যায়। তোমার তো স্পর্ধা কম দেখি নে। কুলদত্তের ক্রিয়াসংগ্রহের অষ্টাদশ অধ্যায়টি কি কোনোদিন খুলে দেখা হয়েছে।