পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু ১২৯ পঞ্চক । ( জনাস্তিকে ) সুভদ্র ধাও তুমি –কিন্তু কুলদত্তকে তো আমি— উপাধ্যায়। কুলদত্তকে মান না ? আচ্ছা, ভরদ্বাজ মিশ্রের প্রয়োগপ্রজ্ঞপ্তি তে৷ মানতেই হবে—তাতে— সুভদ্র । উপাধ্যায় মশায় আমি ভয়ানক পাপ করেছি। পঞ্চক। আবার ! সেই কথাই তো হচ্ছে। তুই চুপ কর । উপাধ্যায়। সুভদ্র, উত্তরের দেয়ালে যে আঁক কেটেছ সে চতুষ্কোণ, না গোলাকার ? সুভদ্র । আঁক কাটি নি। আমি জানলা খুলে বাইরে চেয়েছিলুম। , উপাধ্যায় । ( বসিয়া পড়িয়া ) আঃ সর্বনাশ । করেছিস কী । আজ তিন-শ পয়তাল্লিশ বছর ওই জানলা কেউ খোলে নি তা জানিস ? সুভদ্র । আমার কী হবে । পঞ্চক । সুভদ্রকে আলিঙ্গন করিয়া তোমার জয়জয়কার হবে সুভদ্র । তিন-শ পয়তাল্লিশ বছরের আগল তুমি ঘুচিয়েছ। তোমার এই অসামান্য সাহস দেখে উপাধ্যায়মশায়ের মুখে আর কথা নেই। গুরু আসার পথ তুমিই প্রথম খোলসা করে দিলে । [ সুভদ্রকে টানিয়া লইয়া প্রস্থান উপাধ্যায়। জানি নে কী সর্বনাশ হবে । উত্তরের অধিষ্ঠাত্রী যে একজটা দেবী ! বালকের দুই চক্ষু মুহূর্তেই পাথর হয়ে গেল না কেন তাই ভাবছি। যাই আচার্যদেবকে জানাই গে ! [ প্রস্থান আচার্য ও উপাচার্যের প্রবেশ আচার্য । এতকাল পরে আমাদের গুরু আসছেন । উপাচার্য । তিনি প্রসন্ন হয়েছেন । আচার্য। প্রসন্ন হয়েছেন ? তা হবে । হয়তো প্রসন্নই হয়েছেন । কিন্তু কেমন করে জানব । উপাচার্য। নইলে তিনি আসবেন কেন । আচার্য । এক-এক সময়ে মনে ভয় হয় যে, হয়তো অপরাধের মাত্রা পূর্ণ হয়েছে বলেই তিনি আসছেন । উপাচার্য। না, আচার্যদেব, এমন কথা বলবেন না। আমরা কঠোর নিয়ম সমস্তই নিঃশেষে পালন করেছি—কোনো ক্রটি ঘটে নি। আচার্য । কঠোর নিয়ম ? স্থা, সমস্তই পালিত হয়েছে। اهد ساسانی د: