পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'Sty রবীন্দ্র-রচনাবলী মহাপঞ্চক। ধন্য শিশু, তুমি তোমার ওই প্রাচীন আচার্যকে আজ শিক্ষা দিলে । এস তুমি আমার সঙ্গে । আচার্য। না, আমি যতক্ষণ তোমাদের আচার্য আছি ততক্ষণ আমার আদেশ ব্যতীত কোনো ব্রত আরম্ভ বা শেষ হতেই পারে না । আমি নিষেধ করছি। সুভদ্ৰ, আচার্যের কথা অমান্য ক’রো না—এস পঞ্চক ওকে কোলে করে নিয়ে এস । [ সুভদ্রকে লইয়া পঞ্চকের ও আচার্যের এবং উপাধ্যায়ের প্রস্থান মহাপঞ্চক । ধিক ! তোমাদের মতো ভীরুদের দুর্গতি হতে রক্ষা করে এমন সাধ্য কারও নেই। তোমরা নিজেও মরবে অন্য সকলকেও মারবে । | পদগতিকের প্রবেশ পদাতিক । স্থবিরপত্তনের রাজা আসছেন । মহাপঞ্চক । ব্যাপারখানা কী । এ যে আমাদের রাজা মস্থরগুপ্ত । রাজার প্রবেশ রাজা । নরদেবগণ, তোমাদের সকলকে নমস্কার । সকলে । জয়োস্তু রাজন। মহাপঞ্চক কুশল তো ? রাজা । অত্যন্ত মন্দ সংবাদ । প্রত্যন্তদেশের দূতেরা এসে খবর দিল যে দাদাঠাকুরের দল এসে আমাদের রাজ্যসীমার কাছে বাসা বেঁধেছে । মহাপঞ্চক । দাদাঠাকুরের দল কারা ? রাজা । ওই যে যুনকরা । মহাপঞ্চক। ফুনকরা যদি একবার আমাদের প্রাচীর ভাঙে তাহলে যে সমস্ত লণ্ডভণ্ড করে দেবে । রাজা । সেইজন্তেই তো ছুটে এলুম। চণ্ডক বলে একজন যুনক আমাদের স্থবিরক সম্প্রদায়ের মন্ত্র পাবার জন্যে গোপনে তপস্তা করছিল । আমি সংবাদ পেয়েই তার শিরশেছদ করেছি। 鹽 মহাপঞ্চক। ভালোই করেছেন। কিন্তু এদিকে আমাদের অচলায়তনের মধ্যেই যে পাপ প্রবেশ করেছে তার কী করলেন ? আমাদের পরাভবের আর দেরি কী ? রাজা । সে কী কথা । সঞ্জীব । আয়তনে একজটা দেবীর শাপ লেগেছে । রাজা । একজটা দেবীর শাপ | সর্বনাশ । কেন তার শাপ ?