পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু ృ(tO মাবাপ ভাইবোন কেউ মরে নি এমন নবম গর্তের সস্তান এখনও জুটিয়ে আনতে পারলে না—দ্বারে দাড়িয়ে কে যে মহার্যক্ষ পড়বে ঠিক করতে পারছি নে । সঞ্জীব । গুরু এলে তাকে চিনে নেবে কে ? আচার্য অদীনপুণ্য র্তাকে জানতেন । আমরা তো কেউ তাকে দেখি নি। মহাপঞ্চক । আমাদের আয়তনে যে শাখ বাজায় সেই বৃদ্ধ তাকে দেখেছে । আমাদের পূজার ফুল যে জোগায় সেও তাকে জানে। বিশ্বম্ভর। ওই যে উপাধ্যায় ব্যস্ত হয়ে ছুটে আসছেন। • মহাপঞ্চক। নিশ্চয় গুরু আসার সংবাদ পেয়েছেন। কিন্তু মহার্যক্ষ পাঠের কী করা যায়। ঠিক লক্ষণসম্পন্ন ছেলে তো পাওয়া গেল না । উপাধ্যায়ের প্রবেশ মহাপঞ্চক। কত দূর ? উপাধ্যায়। কত দূর কী ? এসে পড়েছে যে । মহাপঞ্চক । কই দ্বারে তো এখনও শাখ বাজালে না ? উপাধ্যায়। বিশেষ দরকার দেখি নে—কারণ দ্বারের চিহ্নও দেখতে পাচ্ছি নে— ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। মহাপঞ্চক । বল কী ? দ্বার ভেঙেছে ? উপাধ্যায়। শুধু দ্বার নয়, প্রাচীরগুলোকে এমনি সমান করে গুইয়ে দিয়েছে যে তাদের সম্বন্ধে আর কোনো চিন্তা করবার দরকার নেই। ওই দেখছ না আলো ? মহাপঞ্চক । কিন্তু আমাদের দৈবজ্ঞ যে গণনা করে স্পষ্ট দেখিয়ে দিয়ে গেল যে— উপাধ্যায়। তার চেয়ে ঢের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে শত্রুসৈন্যদের রক্তবর্ণ টুপিগুলো । এই যে সব ফাক হয়ে গেছে । ছাত্রগণ। কী সর্বনাশ ! সঞ্জীব । কিসের মন্ত্র তোমার মহাপঞ্চক ? 尊 বিশ্বম্ভর । আমি তো তখনই বলেছিলুম, এ-সব কাজ এই কাচা বয়সের পুথিপড়৷ অকালপকদের দিয়ে হবার নয় । সঞ্জীব । কিন্তু এখন করা যায় কী ? * A ੋ জয়োত্তম। আমাদের আচার্যদেবকে এখনই ফিরিয়ে আনি গে। তিনি থাকলে এ বিপত্তি ঘটতেই পারত না । হাজার হ’ক লোকটা পাকা । । সঙ্গীব। কিন্তু দেখো মহাপঞ্চক, আমাদের আয়তনের যদি কোনো বিপত্তি ঘটে তাহলে তোমাকে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলব। SNO-R •