পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ©8 রবীন্দ্র-রচনাবলী উপাধ্যায়। সে পরিশ্রমটা তোমাদের করতে হবে না, উপযুক্ত লোক আসছে। মহাপঞ্চক। তোমরা মিথ্যা বিচলিত হচ্ছ। বাইরের প্রাচীর ভাঙতে পারে, কিন্তু ভিতরের লোহার দরজা বন্ধ আছে। সে যখন ভাঙবে তখন চন্দ্রস্থর্য নিবে যাবে। আমি অভয় দিচ্ছি তোমরা স্থির হয়ে দাড়িয়ে অচলায়তনের রক্ষক-দেবতার আশ্চর্য শক্তি দেখে নাও । উপাধ্যায়। তার চেয়ে দেখি কোন দিক দিয়ে বেরোবার রাস্তা । বিশ্বম্ভর । আমাদেরও ত সেই ইচ্ছা । কিন্তু এখান থেকে বেরোবার পথ যে জানিই নে। কোনোদিন বেরোতে হবে বলে স্বপ্নেও মনে করি নি । o সঞ্জীব । শুনছ—ওই শুনছ, ভেঙে পড়ল সব। ছাত্ৰগণ । কী হবে আমাদের । নিশ্চয় দরজা ভেঙেছে । এই যে একেবারে নীল আকাশ । বালকদলের প্রবেশ উপাধ্যায়। কী রে তোরা সব নৃত্য করছিস কেন ? প্রথম বালক । আজ এ কী মজা হল । উপাধ্যায়। মজাটা কী রকম শুনি ? দ্বিতীয় বালক । আজ চারদিক থেকেই আলো আসছে—সব যেন ফাক হয়ে গেছে । তৃতীয় বালক । এত আলো তো আমরা কোনোদিন দেখি নি। প্রথম বালক । কোথাকার পাখির ডাক এখান থেকেই শোনা যাচ্ছে । দ্বিতীয় বালক । এ-সব পাখির ডাক আমরা তো কোনোদিন শুনি নি । এ তো আমাদের খাচার ময়নার মতো একেবারেই নয়। প্রথম বালক । আজ আমাদের খুব ছুটতে ইচ্ছে করছে। তাতে কি দোষ হবে মহাপঞ্চকদাদা ? মহাপঞ্চক। আজকের কথা ঠিক বলতে পারছি নে। আজ কোনো নিয়ম রক্ষা করা চলবে বলে বোধ হচ্ছে ন । প্রথম বালক । আজ তাহলে আমাদের ষড়াসন বন্ধ ? মহাপঞ্চক হা বন্ধ । সকলে । ওরে কী মজা রে কী মজা । দ্বিতীয় বালক। আজ পংক্তিধৌতির দরকার নেই ? মহাপঞ্চক। न1 ।।