পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু Ꮌ©© সকলে । ওরে কী মজা । আঃ আজ চারদিকে কী আলো । জয়োত্তম । আমারও মনটা নেচে উঠছে বিশ্বম্ভর । এ কি ভয়, না আনন্দ, কিছুই বুঝতে পারছি নে । বিশ্বম্ভর । আজ একটা অদ্ভূত কাগু হচ্ছে জয়োত্তম । সঞ্জীব । কিন্তু ব্যাপারটা যে কী, ভেবে উঠতে পারছি নে ওরে ছেলেগুলো, তোরা হঠাৎ এত খুশি হয়ে উঠলি কেন বল দেখি । প্রথম বালক। দেখছ না, সমস্ত আকাশটা যেন ঘরের মধ্যে দৌড়ে এসেছে। • দ্বিতীয় বালক । মনে হচ্ছে ছুটি—আমাদের ছুটি । । [ বালকদের প্রস্থান জয়োত্তম। দেখো মহাপঞ্চকদাদা, আমার মনে হচ্ছে ভয় কিছুই নেই—নইলে ছেলেদের মন এমন অকারণে খুশি হয়ে উঠল কেন ? মহাপঞ্চক । ভয় নেই সে তো আমি বরাবর বলে আসছি । শঙ্খবাদক ও মালীর প্রবেশ উভয়ে । গুরু আসছেন। সকলে । গুরু ! মহাপঞ্চক। শুনলে তো । আমি নিশ্চয় জানতুম তোমাদের আশঙ্কা বৃথা । সকলে । ভয় নেই আর ভয় নেই। বিশ্বম্ভর । মহাপঞ্চক যখন আছেন তখন কি আমাদের ভয় থাকতে পারে । সকলে । জয় আচার্য মহাপঞ্চকের । যোদ্ধৃবেশে দাদাঠাকুরের প্রবেশ শঙ্খবাদক ও মালী । ( প্রণাম করিয়া ) জয় গুরুজির জয় ! সকলে স্তস্তিত মহাপঞ্চক । উপাধ্যায় এই কি শুরু ? উপাধ্যায়। তাই তো শুনছি। মহাপঞ্চক। তুমি কি আমাদের গুরু ? দাদাঠাকুর। ই ! তুমি আমাকে চিনবে না কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু। মহাপঞ্চক। তুমি গুরু ? তুমি আমাদের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে এ কোন পথ দিয়ে এলে ? তোমাকে কে মানবে ? . দাদাঠাকুর । আমাকে মানবে না জানি, কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু।