পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سونی اج বাহির হতে আহবান । সুরঙ্গম । সুরঙ্গম । ওই আসছেন রাজকুমারী সুদর্শন । সুদৰ্শনার প্রবেশ সুদৰ্শন । তোমার এখানে আকাশে যেন অৰ্ঘ্য সাজানো, যেন শিশির-ধোওয়া সকালবেলার স্পর্শ। তুমি এখানকার বাতাসে কী ছিটিয়ে দিয়েছ বলে দেখি । সুরঙ্গমা । সুর ছিটিয়েছি । সুদৰ্শন । আমাকে সেই রাজাধিরাজের কথা বলে সুরঙ্গমা, আমি শুনি । সুরঙ্গম । মুখের কথায় বলে উঠতে পারি নে । সুদৰ্শন । বলো, তিনি কি খুব সুন্দর ? সুরঙ্গম । সুন্দর ? একদিন সুন্দরকে নিয়ে খেলতে গিয়েছিলুম, খেলা ভাঙল যেদিন, বুক ফেটে গেল, সেইদিন বুঝলুম সুন্দর কাকে বলে । একদিন তাকে ভয়ংকর বলে ভয় পেয়েছি, আজ তাকে ভয়ংকর বলে আনন্দ করি—তাকে বলি তুমি ঝড়, তাকে বলি তুমি দুঃখ, তাকে বলি তুমি মরণ, সব শেষে বলি—তুমি আনন্দ । গান 疊 আমি যখন ছিলেম অন্ধ, সুখের খেলায় বেলা গেছে পাই নি তো আনন্দ ॥ খেলা ঘরের দেয়াল গেথে পেয়াল নিয়ে ছিলেম মেতে, ভিত ভেঙে ফেই আসলে ঘরে ঘুচল আমার বন্ধ, সুখের পেলা আর রোচে না পেয়েছি আনন্দ ॥p ভীষণ অামার, রুদ্র আমার, নিদ্রা গেল ক্ষুদ্র আমার, উগ্র ব্যথায় নূতন ক’রে বাধলে আমার ছন্দ । যেদিন তুমি অগ্নিবেশে সব-কিছু মোর নিলে এসে, সেদিন আমি পূর্ণ হলেম ঘুচল আমার দ্বন্থ, দুঃখ মুখের পারে তোমায় পেয়েছি আনন্দ ॥