পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী אלכי কুম্ভ । দেখাচ্ছে ভালো—কী জানি ভাই হতে পারে। কৌণ্ডিল্য । ঠিক যেন রাজাট গড়ে রেখেছে। ভয় হয়, পাছে রোদুর লাগলে গলে যায় । রাজবেশধারীর প্রবেশ সকলে । জয় মহারাজের জয় । জনার্দন । দর্শনের জন্যে সকাল থেকে দাড়িয়ে । দয়া রাখবেন । কুম্ভ। বড়ো ধাধা ঠেকছে, ঠাকুরদাকে ডেকে আনি । [ সকলের প্রস্থান বিদেশী পথিকদলের প্রবেশ মাধব । ওরে রাজা রে রাজা । দেখবি আয় । বিরাজদত্ত । মনে রেখে রাজা, আমি কুশলীবস্তুর উদয়দত্তর নাতি। আমার নাম বিরাজদত্ত। রাজা বেরিয়েছে শুনেই ছুটেছি, লোকের কারও কথায় কান দিই নি —আমি সকলের আগে তোমাকে মেনেছি। ভদ্রসেন । শোনো একবার, আমি যে ভোর থেকে এখানে দাড়িয়ে—তখনও কাক ডাকে নি—এতক্ষণ ছিলে কোথায় ? রাজা, আমি বিক্রমস্থলীর ভদ্রসেন ভক্তকে স্মরণ রেখো । রাজবেশী । তোমাদের ভক্তিতে বড়ো প্রীত হলেম । বিরাজদত্ত। মহারাজ, আমাদের অভাব বিস্তর—এতদিন দর্শন পাই নি, জানাব কাকে ? রাজবেশী । তোমাদের সমস্ত অভাব মিটিয়ে দেব। [ রাজবেশীর প্রস্থান দেশী পথিকদের প্রবেশ কৌশুিল্য। ওরে পিছিয়ে থাকলে চলবে না—ভিড়ে মিশে গেলে রাজার চোখে পড়ব না । বিরাজদত্ত। দেখ দেখ একবার নরোত্তমের কাগুখানা দেখ! আমরা এত লোক আছি, সবাইকে ঠেলেঠলে কোথা থেকে এক তালপাতার পাখা নিয়ে রাজাকে বাতাস করতে লেগে গেছে । কৌশুিল্য। তাই তো হে, লোকটার আস্পর্ধা তো কম নয়। মাধব । ওকে জোর করে ধরে সরিয়ে দিতে হচ্ছে—ও কি রাজার পাশে দাড়াবার যুগ্যি । কৌণ্ডিল্য। ওহে রাজা কি আর এটুকু বুঝবে না ? এযে অতিভক্তি।