পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্প রতন כיb^ס বিরাজদত্ত। না হে না—রাজাদের যদি মগজই থাকবে তাহলে মুকুট থাকবার দরকার কী । ওই তালপাখার হাওয়া খেয়েই ভুলবে। [ সকলের প্রস্থান ঠাকুরদাকে লইয়া কুস্তের প্রবেশ কুম্ভ । এখনই এই রাস্তা দিয়েই যে গেল । ঠাকুরদা। রাস্ত দিয়ে গেলেই রাজা হয় নাকি রে । কুম্ভ । দাদা, একেবারে স্পষ্ট চোখে দেখা গেল—একজন না দুজন না, রাস্তার দ্বধারের লোক তাকে দেখে নিয়েছে। ঠাকুরদা । সেইজন্তেই তো সন্দেহ। কবে আমার রাজা রাস্তার লোকের চোখ ধাধিয়ে বেড়ায় । কুম্ভ । তা আজকে যদি মর্জি হয়ে থাকে, বলা যায় কী । ঠাকুরদা। বলা যায় রে বলা যায়—আমার রাজার মর্জি বরাবর ঠিক আছে— ঘড়ি-ঘড়ি বদলায় না । কুম্ভ। কিন্তু কী বলব দাদা—একেবারে ননির পুতুলটি। ইচ্ছে করে সর্বাঙ্গ দিয়ে তাকে ছায়া করে রাখি । o ঠাকুরদা । তোর এমন বুদ্ধি কবে হল ? আমার রাজা মনির পুতুল, আর তুই তাকে ছায়া করে রাখবি । কুম্ভ। যা বল দাদা, দেখতে বড়ো সুন্দর–আজ তো এত লোক জুটেছে অমনটি কাউকে দেখলুম না । ঠাকুরদা। আমার রাজা তোদের চোখেই পড়ত না । কুম্ভ। ধ্বজ দেখতে পেলুম যে গো । লোকে যে বলে, এই উৎসবে রাজা বেরিয়েছে । ঠাকুরদা। বেরিয়েছে বই কি । কিন্তু সঙ্গে পাইক নেই, বান্তি নেই । কুম্ভ। কেউ বুঝি ধরতেই পারে না । ঠাকুরদা। হয়তো কেউ কেউ পারে। কুম্ভ। যে পারে সে বোধ হয় যা চায় তা-ই পায়। ঠাকুরদা। সে কিছু চায় না । ভিক্ষুকের কর্ম নয় রাজাকে চেনা । ছোটো ভিক্ষুক বড়ো ভিক্ষুককেই রাজা বলে মনে করে বসে। [ সকলের প্রস্থান রাজা বিজয়বর্ম, বিক্রমবাহু ও বস্বসেনের প্রবেশ বসুসেন । এই উৎসবের রাজা কি আমাদেরও দেখা দেবে না ?