পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরাপ রতন సె(t সুদৰ্শনার পুনঃপ্রবেশ সুদৰ্শন । কিন্তু কেন সে আমাকে জোর করে পথ আটকায় না ? কেশের গুচ্ছ ধরে কেন সে আমাকে টেনে রেখে দেয় না ? আমাকে কিছু সে বলছে না, সেই জন্তেই .আরও অসহ বোধ হচ্ছে। সুরঙ্গম । রাজা কিছু বলছে না, কে তোমাকে বললে ? সুদৰ্শন । অমন করে নয়, চীংকার করে বজ্রগর্জনে—আমার কান থেকে অন্য সকল কথা ডুবিয়ে দিয়ে। রাজা, আমাকে এত সহজে ছেড়ে দিয়ে না, যেতে দিয়ে না। • সুরঙ্গম । ছেড়ে দেবেন, কিন্তু যেতে দেবেন কেন ? সুদৰ্শন । যেতে দেবেন না ? আমি যাবই। সুরঙ্গম । আচ্ছা যাও । সুদৰ্শন । আমার দোষ নেই। আমাকে জোর করে তিনি ধরে রাপতে পারতেন কিন্তু রাখলেন না । আমাকে বাধলেন না—আমি চললুম। এইবার তার প্রহরীদের হুকুম দিন, আমাকে ঠেকাক । সুরঙ্গম । কেউ ঠেকাবে না। ঝড়ের মুখে ছিন্ন মেঘ যেমন অবাধে চলে তেমনি তুমি অবাধে চলে যাও। সুদৰ্শন । ক্রমেই বেগ বেড়ে উঠছে—এবার নোঙর ছিড়ল। হয়তো ডুবব কিন্তু আর ফিরব না । [ দ্রুত প্রস্থান 8 রাজপথ নাগরিকদলের প্রবেশ প্রথম । এটি ঘটালেন আমাদের রাজকন্যা সুদর্শন । দ্বিতীয় । সকল সর্বনাশের মূলেই স্ত্রীলোক আছে। বেদেই তো আছে,—কী আছে বলে না হে বটুকেশ্বর। তুমি বামুনের ছেলে । তৃতীয়। আছে আছে বই কি। বেদে যা খুজবে, তাই পাওয়া যাবে—অষ্টাবক্র বলেছেন, নারীণাঞ্চনধিনাঞ্চপৃক্ষিণাং শস্ত্রপাণিনাং—অর্থাৎ কিনা— দ্বিতীয়। আরে বুঝেছি বুঝেছি—আমি থাকি তর্করত্নপাড়ায়,—অসুস্বার-বিসর্গের একটা ফোটা আমার কাছে এড়াবার জো নেই।