পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্প রতন Sa সুরঙ্গম । কার উপরে রাগ করছ মা ! সুদৰ্শন । আমি তার নাম করতেওঁ চাই নে । সুরঙ্গম । আচ্ছা, নাম ক’রে না, তার সবুর সইবে । সুদৰ্শন। আমি পথে বেরোলুম, সঙ্গে সে এল না ? সুরঙ্গম । সমস্ত পথ জুড়ে আছেন তিনি । সুদৰ্শন । একবার বারণও করলে না ? চুপ করে রইলি যে ? বল না, তোর রাজার এ কী রকম ব্যবহার ? • সুরঙ্গম । সে তো সবাই জানে, আমার রাজা নিষ্ঠর । তাকে কি কেউ কোনোদিন টলাতে পারে ? সুদৰ্শন । তবে তুই এমন দিনরাত ডাকিস কেন ? সুরঙ্গম। । সে যেন এমনি পর্বতের মতোই চিরদিন কঠিন থাকে । আমার দুঃখ আমার থাক, সেই কঠিনেরই জয় হ’ক । [ সুদর্শনার প্রস্থান সুরঙ্গমার গান ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর, তোমার প্রেম তোমারে এমন করে করেছে নিষ্ঠর । তুমি বসে থাকতে দেবে না যে, দিবানিশি তাই তো বাজে পরান মাঝে এমন কঠিন সুর । ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর, তোমার লাগি দুঃখ আমার হয় যেন মধুর । তোমার খোজা খোজায় মোরে, তোমার বেদন কাদায় ওরে, আরাম যত করে কোথায় দূর । [ সুরঙ্গমার প্রস্থান রাজা বিক্রম ও সুবর্ণের প্রবেশ বিক্রম। কে ষে বললে সুদর্শন এই পথ দিয়ে পালিয়েছে। যুদ্ধে তার বাপকে বন্দী করা মিথ্যে হবে যদি সে ফাকি দিয়ে পালিয়ে যায়।