পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ e রবীন্দ্র-রচনাবলী সৈনিকের প্রবেশ সুদৰ্শন । কে তুমি ? সৈনিক । আমি নগরের রাজপ্রাসাদের দ্বারী। সুদৰ্শন । শীঘ্র বলে। সেখানকার খবর কী । সৈনিক । মহারাজ বন্দী হয়েছেন । সুদৰ্শন । কে বন্দী হয়েছেন ? সৈনিক । আপনার পিতা । সুদৰ্শন । আমার পিতা ! কার বন্দী হয়েছেন ? Ç সৈনিক । রাজা বিক্রমবাহুর । [ সৈনিকের প্রস্থান সুদৰ্শন । রাজা, রাজা, দুঃখ তো আমি সইতে প্রস্তুত হয়েই বেরিয়েছিলেম, কিন্তু আমার দুঃখ চারদিকে ছড়িয়ে দিলে কেন ? যে আগুন আমার বাগানে লেগেছিল সেই আগুন কি আমি সঙ্গে করে নিয়ে চলেছি ? আমার পিতা তোমার কাছে কী দোষ করেছেন ? সুরঙ্গমা । আমরা যে কেউ একলা নই। ভালোমন্দ সবাইকেই ভাগ করে নিতে হয় । সেইজন্তেই তো ভয়, একলার জন্যে ভয় কিসের ? সুদৰ্শনা । সুরঙ্গমা । সুরঙ্গমা ! কী রাজকুমারী । সুদৰ্শন । তোর রাজার যদি রক্ষা করবার শক্তি থাকত, তাহলে আজ তিনি কি নিশ্চিস্ত হয়ে থাকতে পারতেন ? সুরঙ্গম । আমাকে কেন বলছ ? আমার রাজার হয়ে উত্তর দেবার শক্তি কি আমার আছে ? উত্তর যদি দেন তো নিজেই এমনি করে দেবেন যে কারও কিছু বুঝতে বাকি থাকবে না । সুদৰ্শন । রাজা, আমার পিতাকে রক্ষা করবার জন্যে যদি তুমি আসতে, তাহলে তোমার যশ বাড়ত বই কমত না । [ প্রস্থানেfদ্যম সুরঙ্গমা । কোথায় যাচ্ছ ? সুদৰ্শন । রাজা বিক্রমের শিবিরে । আমাকে বন্দী করুন তিনি, আমার পিতাকে ছেড়ে দিন । আমি নিজেকে যতদূর নত করতে পারি করব, দেখি কোথায় এসে ঠেকলে তোর রাজার সিংহাসন নড়ে । [ উভয়ের প্রস্থান বস্তুসেন ও বিজয়বর্মার প্রবেশ বসুসেন । যুদ্ধের আরম্ভেই যুদ্ধ শেষ হয়ে আছে, ভাঙা সৈন্য কুড়িয়ে এনে কখনো লড়াই চলে ?