পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী بebد আমার স্বপন হল সারা এখন প্রাণে বীণা বাজায় ভোরের তারা । দেবার মতো যা ছিল মোর নাই কিছু আর হাতে তোমার আশীর্বাদের মালা নেব কেবল মাথে আমার ললাট ঘেরি ॥ সুদৰ্শন ও কে ও । চেয়ে দেখ সুরঙ্গমা, এত রাত্রে এই আঁধারে পথে আরও একজন পথিক বেরিয়েছে যে । +. সুরঙ্গমা। মা, এ যে বিক্রম রাজা দেখছি । সুদৰ্শন । বিক্রম রাজা ? সুরঙ্গমা । ভয় ক’রো না । সুদৰ্শন । ভয়! ভয় কেন করব। ভয়ের দিন আমার আর নেই। রাজা বিক্রমবাহুর প্রবেশ বিক্রম। তুমিও চলেছ বুঝি। আমিও এই এক পথেরই পথিক । আমাকে কিছুমাত্র ভয় ক’রো না । সুদৰ্শনা। ভালোই হয়েছে বিক্রমরাজ—আমরা দুজনে র্তার কাছে পাশাপাশি চলেছি এ ঠিক হয়েছে। ঘর ছেড়ে বেরোবার মুখেই তোমার সঙ্গে আমার যোগ হয়েছিল—আজ ঘরে ফেরবার পথে সেই যোগই যে এমন শুভযোগ হয়ে উঠবে তা আগে কে মনে করতে পারত। বিক্রম। কিন্তু তুমি যে হেঁটে চলেছ এ তে তোমাকে শোভা পায় না। যদি অকুমতি কর তাহলে এখনই রথ আনিয়ে দিতে পারি । সুদৰ্শন। না না, অমন কথা বলে না—ষে-পথ দিয়ে তার কাছ থেকে দূরে এসেছি, সেই পথের সমস্ত ধুলোটা পা দিয়ে মাড়িয়ে মাড়িয়ে ফিরব তবেই আমার বেরিয়ে আসা সার্থক হবে । রথে করে নিয়ে গেলে আমাকে ফাকি দেওয়া হবে । মুরঙ্গম । মহারাজ, তুমিও তো আজ ধূলোয়। এ পথে তো হাতি ঘোড়া রথ কারও দেখি নি। সুদৰ্শন । যখন প্রাসাদে ছিলুম তখন কেবল সোনারুপোর মধ্যেই পা ফেলেছি— আজ র্তার ধুলোর মধ্যে চলে আমার সেই ভাগ্যদোষ খণ্ডিয়ে নেব। আজ আমার