পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতক রোগ মুখের মস্ত বড়ে দুটি চোখে বিস্থর যেন নতুন করে শুভদৃষ্টি হল নতুন লোকে । রেল-লাইনের ওপার থেকে কাঙাল যখন ফেরে ভিক্ষ ইেকে, বিহু আপন বাক্স খুলে টাকা সিকে যা হাতে পায় তুলে কাগজ দিয়ে মুড়ে দেয় সে ছুড়ে ছুড়ে । সবার দুঃখ দূর না হলে পরে আনন্দ তার আপনার ভার বইবে কেমন করে । ংসারের ঐ ভাঙা ঘাটের কিনার হতে আজ আমাদের ভাসান যেন চিরপ্রেমের শ্ৰেণতে,— তাই যেন আজ দানে ধ্যানে ভরতে হবে সে-যাত্রাটি বিশ্বের কল্যাণে । বিস্তুর মনে জাগছে বারেবার নিধিলে আজ একলা শুধু আমিই কেবল তার ; কেউ কোথা নেই আর শ্বশুর ভাগুর সামনে পিছে ডাইনে বঁায়ে ; সেই কথাটা মনে ক’রে পুলক দিল গায়ে । বিলাসপুরের ইস্টেশনে বদল হবে গাড়ি ; তাড়াতাড়ি নামতে হল । ছ-ঘণ্টা কাল থামতে হবে যাত্রিশালায়, মনে হল এ এক বিষম বালাই । ” বিহু বললে, “কেন, এ তো বেশ ।” তার মনে আজ নেই যে খুশির শেষ । পথের বঁাশি পায়ে পায়ে তারে যে আজ করেছে চঞ্চল,— আনন্দে তাই এক হল তার পৌছনো আর চল । ృల